এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের আম্পায়ার কবে?

দিন কয়েক আগে ২০২০-২১ মৌসুমের জন্য এলিট প্যানেল আম্পায়ারদের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। যথারীতি সেখানে নেই বাংলাদেশের কেউ। নানা বাস্তবতা বলছে, নিকট ভবিষ্যতেও এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের কারও জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্য। আম্পায়ারদের মানোন্নয়নে তাই ট্রেনিং ও এডুকেশন প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনছে বিসিবি।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2020, 04:00 AM
Updated : 2 July 2020, 04:22 AM

এক সময় টেস্ট ম্যাচে দুজন ফিল্ড আম্পায়ারই থাকতেন স্বাগতিক দেশের। ১৯৯২ সালে পরীক্ষামূলকভাবে একজন নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখতে শুরু করে আইসিসি। বছর দুয়েক পর সেই নিয়মই চূড়ান্ত হয়। ২০০২ সাল থেকে সব টেস্ট ম্যাচেই দুজন নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়ম করা হয়। সে বছর থেকেই যাত্রা শুরু করে আইসিসির এলিট প্যানেল।

এলিট প্যানেল ও বাংলাদেশের বাস্তবতা

মূলত টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার জন্যই এলিট প্যানেল। এর বাইরে থেকেও টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয় বটে, তবে বেশির ভাগ টেস্ট পরিচালনা করেন এই প্যানেলের সদস্যরাই। শীর্ষ আম্পায়ারদের এই ক্যাটাগরির দেড় যুগের পথচলায় সঙ্গী হতে পারেননি বাংলাদেশের একজন আম্পায়ারও।

টেস্ট পরিচালনার স্বাদ অবশ্য পেয়েছেন বাংলাদেশের চার জন আম্পায়ার। যখন একজন স্বাগতিক আম্পায়ার রাখার সুযোগ ছিল, তখন বাংলাদেশের দুটি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এএফএম আখতারউদ্দিন, একটি করে মাহবুবুর রহমান ও শওকাতুর রহমান। ২০০২ সালের পর একজন আম্পায়ারই কেবল দাঁড়াতে পেরেছেন টেস্ট ম্যাচে। ২০১২ সালে নেপিয়ারে নিউ জিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান রড টাকারের সঙ্গী ছিলেন এনামুল হক মনি।

এনামুলকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আশা ছিল এলিট প্যানেলের। কিন্তু সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার ২০১৫ সালে অবসর নেন আম্পায়ারিং থেকে। একসময় আশা ছিল নাদির শাহকে ঘিরেও। তিনি বিবেচনা থেকে ছিটকে যান দুর্নীতির অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়ায়। ২০১৩ সালে পাওয়া তার ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা পরে কমিয়ে দেয় বিসিবি। ২০১৬ সালে ফেরার পর থেকে তার পদচারণা সীমাবদ্ধ ঘরোয়া ক্রিকেটে।

আইসিসি আম্পায়ারদের আরেকটি ক্যাটাগরি ‘ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল।’ প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ থেকে এখানে সাধারণত রাখা হয় চার জন করে আম্পায়ার। বাংলাদেশ থেকে এই প্যানেলে আছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, মাসুদুর রহমান, গাজী সোহেল ও তানভির আহমেদ। এই ক্যাটাগরির আম্পায়াররা দায়িত্ব পান সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, মেয়েদের ক্রিকেট, সহযোগী দেশগুলির বিভিন্ন টুর্নামেন্ট, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টসহ আইসিসির অন্যান্য খেলায়।

এলিট ও ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের মাঝামাঝি আরেকটি প্যানেল আছে, যেটির তালিকা আইসিসি প্রকাশ করে না। এটির নাম ‘ইমার্জিং প্যানেল।’ এলিট প্যানেলের কাছাকাছি ধরে নেওয়া হয় তাদেরকেই। প্রতি মৌসুমেই আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে এলিট প্যানেল থেকে কাউকে বাদ দেওয়া হয় এবং নতুন কাউকে নেওয়া হয়। ইমার্জিং প্যানেলের শীর্ষে থাকাদেরই মূলত পারফরম্যান্স অনুযায়ী জায়গা হয় এলিট প্যানেলে।

ইমার্জিং প্যানেলে এখন রাখা হয় ৫ জন আম্পায়ারকে। এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের পাশাপাশি ইমার্জিং প্যানেলের শীর্ষ এক-দুই বা তিন জন মাঝে মধ্যে টেস্ট পরিচালনার সুযোগ পান। সেখানে পারফরম্যান্স অনুযায়ী তাদের সুযোগ থাকে পরবর্তীতে এলিট প্যানেলে ঢোকার।

বিসিবির কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ইমার্জিং প্যানেলে থাকা তো বহুদূর, কাছাকাছিও নেই বাংলাদেশের কেউ। কাজেই এলিট প্যানেলের পথ এখনও বহুদূর!

কেন পারছেন না বাংলাদেশি আম্পায়াররা

ঘরোয়া ক্রিকেটে ও বাংলাদেশে সফরে আসা নানা দলের ম্যাচে দীর্ঘদিন ধরে ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করছেন রকিবুল হাসান। আম্পায়ারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা ও কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতায় সাবেক এই অধিনায়ক তুলে ধরলেন তার পর্যবেক্ষণ।

“আমরা ২০ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু এই জায়গাটিতে এখনও প্রত্যাশিত জায়গায় যেতে পারিনি। এলিট প্যানেলের কথা বলছি আমরা, ‘এলিট’ ব্যাপারটি বুঝতে হবে। এটা অভিজাত একটা প্যানেল। এখানে জায়গা করে নিতে যে যোগ্যতা ও মান লাগে, আমরা এখনও সেখান থেকে পিছিয়ে আছি।”

“আম্পায়ারিং স্কিলের ব্যাপার তো আছেই। আরও কিছু দিক আছে। ইংলিশ জ্ঞান ভালো থাকতে হবে। খুব ভালো যোগাযোগ করার ক্ষমতা, মাঠে বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানো, আবহাওয়াসহ নানা কারণে বিরতি আসবে, তখন সুইচ অফ-সুইচ অন করা, ম্যাচ শেষে রিপোর্ট তৈরি করা, একজন আম্পায়ারের এরকম অনেক কিছু করতে হয়। এসব নানা জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি।”

আম্পায়ারদের মাঠের বাইরের আচরণ ও জীবনধারাও এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তুলে ধরলেন রকিবুল।

“আম্পায়ারদের প্রচুর সোশ্যালাইজিং করা জরুরি। বিদেশি আম্পায়ার বা ম্যাচ রেফারিদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো, সময় কাটানো, নানা কিছু শেয়ার করা, এসব গুরুত্বপূর্ণ। সেন্স অব হিউমার থাকতে হবে। খুব ভালো টিমম্যান হতে হবে। ম্যাচ রেফারিরা যখন রিপোর্ট দেন বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যরা বাছাই করেন, তখন মাঠের বাইরের এসব ব্যাপার বেশ ভূমিকা রাখে। এখানেও আমাদের আম্পায়াররা পিছিয়ে থাকে।”

বাংলাদেশ থেকে ইমার্জিং প্যানেলে যেতে পেরেছেন এখনও পর্যন্ত কেবল এনামুল। সেই সুবাদেই ৮ বছর আগে টেস্ট পরিচালনার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। আম্পায়ারিং থেকে অবসরের পর এখন তিনি কাজ করছেন আম্পায়ার্স ম্যানেজার হিসেবে। সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনারের মতে, বাংলাদেশের আম্পায়ারদের ধাপে ধাপে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।

“এলিট প্যানেলে যেতে হলে আগে ইমার্জিং প্যানেলে জায়গা করে নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আম্পায়ারিং স্কিলে কিন্তু বাংলাদেশের আম্পায়াররা খুব পিছিয়ে নেই। তবে অন্যান্য জায়গায় আরও উন্নতি করতে হবে।”

মাঠের বাইরের আচরণের ক্ষেত্রে রকিবুলের সঙ্গে অনেকটা একমত ৬৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা এনামুল।

“সোশ্যালাইজিংটা ওরা খুব দেখে। কারণ ভাবমূর্তির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা তো ন্যাচারালি অতটা আউটগোয়িং নই। একটু অন্তর্মুখী স্বভাবের। ম্যাচের পর হয়তো হোটেলে থাকতে বা নিজেদের মতো থাকতেই পছন্দ করি। কিন্তু অন্য অফিসিয়ালদের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। আম্পায়ারিংও একটা টিমওয়ার্ক, এখানেও ভালো টিমম্যান হতে হয়।”

“তবে মাঠের বাইরের এসবই যে সবকিছু, তা কিন্তু নয়। এটা স্রেফ একটা অংশ বললাম। সার্বিকভাবেই আমাদের আম্পায়ারদের আরও সমৃদ্ধ করতে হবে নিজেদের।”

বাংলাদেশের আম্পায়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন শরফুদ্দৌলা। সবই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। আপাতত তার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি দেখেন রকিবুল।

“এই মুহূর্তে সৈকত (শরফুদ্দৌলা) হয়তো এলিট প্যানেলের কাছাকাছি আছে। ওর ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, অনেক দিন খেলেছে। কমিউনিকেশন স্কিল ভালো। এমবিএ করেছে, জানাশোনাও ভালো। অন্যরা খারাপ, সেটা বলছি না। তবে সৈকতসহ সবাইকেই উন্নতি করতে হবে আরও।”

বিসিবির ভাবনা

আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত জায়গায় যেতে পারেনি, মানছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি। এ নিয়ে আক্ষেপ-হতাশা যেমন আছে, তেমনি কিছুটা আশার আলোও দেখালেন তিনি।

“এই জায়গাটিতে সত্যিই আমরা পিছিয়ে আছি, যা হতাশাজনক। আগে দু-একজনের এলিট প্যানেলে জায়গা হতে হতেও হয়নি। আইসিসির সঙ্গে আমাদের কথা চলছে নিয়মিত। এমন নয় যে আমাদের আম্পায়াররা একদমই বিবেচনার বাইরে। তবে হ্যাঁ, উন্নতি তো অবশ্যই প্রয়োজন।”

উন্নতির সেই তাগিদ থেকেই আম্পায়ারিং নিয়ে নতুন করে ভাবছে বোর্ড। প্রধান নির্বাহী জানালেন, আম্পায়ারদের মানোন্নয়নের প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

“আমরা বুঝতে পেরেছি, আম্পায়ারিং নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। নিয়মিত যে কাজগুলো চলছে, এসবের বাইরেও আরও কিছু উদ্যোগ আমরা নিতে যাচ্ছি। রস টার্নারের (অস্ট্রেলিয়ান কোচ) কাছ থেকে যে উন্নয়ন প্রস্তাবনা আমরা পেয়েছি, তাতে আম্পায়ারিংও আছে।”

“ট্রেনিং আরও আপগ্রেডেড করব আমরা। নিয়মিত এডুকেশনাল প্রোগ্রামের বাইরেও অনেক কিছু করা হবে। ভাষা বলুন বা কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানো, সঙ্গে বাড়তি আরও কিছু কাজ করব। পাশাপাশি এসব নিয়মিত মনিটরও করা হবে। এখন তো সবকিছুরই বিরতি, তাই আটকে আছে অনেক কিছু। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা শুরু করব।”

আম্পায়ার্স ম্যানেজার এনামুল হকও অনুভব করছেন আরও উন্নত ট্রেনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা।

“আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন সিমেন্টের উইকেটে খেলে বড় হয়েছি। পেশাদার হওয়ার পরও প্র্যাকটিস করেছি সিমেন্টে, ম্যাচ খেলেছি টার্ফে। এখন কোনো ছেলে সিমেন্টের পিচে খেলার কথা ভাবতে পারে? খেলার ক্ষেত্রে সুবিধার যতটা উন্নতি হয়েছে, আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু ততটা হয়নি। আমাদের পূর্বসূরি আম্পায়ারদের কোচ ছিল না, তেমন ট্রেনিং ছিল না। আমরাও সেভাবেই এগিয়েছি। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগোতে হয়েছে। এখন অনেক কিছু হচ্ছে। আরও কিছু করার জায়গা আছে।”

স্বজনপ্রীতি-লবিং

বাংলাদেশের আম্পায়ারিং মহলে কান পাতলেই কিছু আক্ষেপের কথা শোনা যায়। অন্য দেশের বোর্ড তাদের আম্পায়ারদের যতটা সমর্থন করে, বাংলাদেশের বোর্ড ততটা করে না বলে দাবি কারও কারও। আইসিসির আম্পায়ারিং বিভাগে যারা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও তোলেন কেউ কেউ। সঙ্গত কারণেই নাম প্রকাশ করে এসব বলতে চান না তারা কেউই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আরও অনেক ক্ষেত্রের মতো ভারতীয় বোর্ডের প্রভাব আলোচিত হয় আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও। ভারতের শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাঘন ছিলেন কিংবদন্তিতুল্য আম্পায়ার। তার অবসরের দীর্ঘদিন পর ২০১৫ সালে এলিট প্যানেলে জায়গা পান ভারতীয় আম্পায়ার সুন্দরম রবি। তার মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেকের। রবি পরে পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছেন এলিট প্যানেল থেকে। এবারের এলিট প্যানেলে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই জায়গা পেয়েছেন আরেক ভারতীয় আম্পায়ার নিতিন মেনন।

ভারতসহ অন্য অনেক দেশের বোর্ডই নিজেদের আম্পায়ারদের তুলে ধরতে আইসিসির কাছে সুপারিশ করে, নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ বা ‘লবিং’ করে বলে দাবি বাংলাদেশের আম্পায়ারদের অনেকের। 

এছাড়াও আইসিসির বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের দেশের বা তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকাদেরই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব দেন, ফলে সেই আম্পায়ারদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়, এমন অভিযোগ বাংলাদেশের আম্পায়ারদের কয়েকজনের।

এতটা প্রবলভাবে না হলেও বোর্ডের ভূমিকা রাখার সুযোগ দেখছেন রকিবুল হাসান।

“বোর্ড কিন্তু যথেষ্টই করছে। ট্রেনিং করাচ্ছে, ওয়ার্কশপ হচ্ছে, অনেক টাকা খরচ করছে। হ্যাঁ, হয়তো আরেকটু পুশ করতে পারে, কিছু তদবির করতে পারে।”

তবে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের নানা অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশেরই এনামুল হক।

“আমাদের বোর্ড যথেষ্টই সহায়তা করে। তবে আমার মনে হয় না, লবিংয়ে খুব কাজ হয়। ভারতের কথা বলতে পারেন অনেকে। কিন্তু ভারতে এখন যেটা হয়, আইপিএলের মতো একটা টুর্নামেন্ট হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহ থাকে, বিশ্ব ক্রিকেটের বড় বড় তারকা থাকে, অনেক চাপের ম্যাচ থাকে। ওখানে আম্পায়ারিং করলে তাদের বড় অভিজ্ঞতা হয়, এটি নিশ্চিতভাবেই বিবেচনায় নেওয়া হয়। নিতিন মেনন যেমন দুটি আইপিএল ফাইনাল করেছে।”

“এলিট প্যানেল বলেন, ম্যাচ রেফারি বা আম্পায়ারদের কোচ, অনেকের সঙ্গে অনেক সময় মিশেছি আমি, কথা বলেছি। ওরা সবসময়ই একটি কথা বলে, যোগ্যতা যথেষ্ট থাকলে লবিং প্রয়োজন হয় না।”

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরিও জানালেন, আম্পায়ারদের আরও যোগ্য করে গড়ে তোলার দিকেই তাদের মনোযোগ। কবে নাগাদ বাংলাদেশের কাউকে এলিট প্যানেলে দেখা যাবে, সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন তিনি।

“সুপারিশে কতটা কাজ হয়, আমি ঠিক নিশ্চিত নই। আমরা যতটুকু করার, চেষ্টা করছি। আইসিসির সঙ্গে এসব নিয়ে কথা হয় আমাদের। আমরা বরং আমাদের আম্পায়ারদের আরও ভালো ট্রেনিং দিয়ে যথেষ্ট যোগ্য করে তোলার দিকেই জোর দিচ্ছি।”

“কবে আমরা এলিট প্যানেলে আমাদের কাউকে দেখব, এটা তো সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। আমরা কোনো টাইমফ্রেম ঠিক করিনি। আমাদের চাওয়া, যত দ্রুত সম্ভব দেখতে চাই কাউকে। এজন্যই ট্রেনিং ও প্রক্রিয়াগুলো ঘষেমেজে আরও উন্নত করে তোলা হচ্ছে।”