২০১৪-১৫ মৌসুমে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্ট ছিল সেটি। চোটের জন্য নিয়মিত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব পান কোহলি। চতুর্থ ইনিংসে ৩৬৪ রান তাড়ায় মুরালি বিজয়ের ৯৯ ও কোহলির ১৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও ৪৮ রানে হেরে যায় ভারত। কোহলি প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১১৫।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মঙ্গলবার সেই ম্যাচের দুটি ছবি পোস্ট করে কোহলি লেখেন, ভারতের টেস্ট সাফল্যের জন্য অ্যাডিলেইড টেস্ট বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে সবসময়।
“আমাদের টেস্ট যাত্রায় পেছন ফিরে দেখলে বলতে হবে বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টের জন্যই আজ আমরা এখানে। ২০১৪ অ্যাডিলেইড টেস্ট দুই দলের জন্যই আবেগে ভরা ছিল, দর্শকদের জন্যও ছিল উপভোগ্য। যদিও অল্পের জন্য আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি, আর সেটাই আমাদের শিখিয়েছিল।”
“পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করলে সবকিছু সম্ভব... সেদিন শুরুতে লক্ষ্যটা কঠিন মনে হয়েছিল, কিন্তু আমরা প্রায় করেই ফেলেছিলাম। আমরা সবাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। ম্যাচটি টেস্ট দল হিসেবে আমাদের চলার পথে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
ওই সিরিজেরই মাঝপথে আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ধোনি। এরপর সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে পুরোপুরি দায়িত্ব বুঝে নেন কোহলি। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছরে তার নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে দারুণ সব সাফল্য। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শীর্ষস্থান হারানোর আগে দীর্ঘদিন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে চূড়ায় ছিল তার দল। দেশের মাটিতে জিতেছে রেকর্ড টানা ১২ টেস্ট। সেই সাফল্য যাত্রায় ব্যাট হাতে ও নেতৃত্বে বড় অবদান ছিল অধিনায়কের।