দেশের মাটিতে ছয় ম্যাচের সেই সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। গাভাস্কার চার সেঞ্চুরিতে ৯১.৫০ গড়ে করেছিলেন ৭৩২ রান। সিরিজে আর কারও রান ছয়শও স্পর্শ করেনি।
কিন্তু সিরিজের পরপরই গাভাস্কারকে সরিয়ে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাঘবনকে। সোমবার মিড-ডেতে নিজের কলামে গাভাস্কার লেখেন, নেতৃত্ব হারানোর কারণ গত চার দশকেও তিনি খুঁজে পাননি।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারত সিরিজ জিতেছিল, সিরিজে ৭০০ এর বেশি রান করেছিলাম আমি, এরপরও আমাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি এখনও এর কারণ জানি না।”
“একটি কারণ কেবল অনুমান করতে পারি, ক্যারি প্যাকার ওয়ার্ল্ড সিরিজে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবের ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলতাম। যদিও সেই সিরিজে নির্বাচিত হওয়ার আগেই আমি বিসিসিআইয়ের চুক্তিতে সই করেছিলাম।”
গাভাস্কার ওই সিরিজে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদির জায়গায়। আগের সিরিজে বেদির নেতৃত্বে পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ হেরেছিল ভারত। বাঁহাতি স্পিনার বেদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল থেকেই নাকি বাদ দিতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা। গাভাস্কারের দাবি, তার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত দলে রাখা হয় বেদিকে।
“পাকিস্তানে সিরিজ হারের পর বেদির জায়গায় আমি অধিনায়ক হলে নির্বাচকরা সরাসরি তাকে দল থেকে বাদ দিতে চেয়েছিল। আমি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছিলাম, তিনি এখনও দেশের সেরা বাঁহাতি স্পিনার। একরকম অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা তাকে প্রথম টেস্টের দলে নিতে রাজি হয়।”
এক সিরিজ পরই অবশ্য নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছিলেন গাভাস্কার। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে দেশের মাটিতে তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত।