আইসিসি আম্পায়ারদের বাৎসরিক মূল্যায়ন শেষে ২০২০-২০২১ মৌসুমের এলিট প্যানেলে ঠাঁই হয়েছে মেননের। বাদ পড়েছেন ৬২ টেস্ট পরিচালনা করা ইংলিশ আম্পায়ার নাইজেল লং।
আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনায় বিবেচনায় নেওয়া হয় তাদের মাঠের সিদ্ধান্ত, রিভিউয়ে বদলে যাওয়া সিদ্ধান্তের হার, মাঠে তারা নিজেদের কিভাবে মেলে ধরেন, এরকম আরও কিছু মানদন্ড। প্রতিটির জন্য আলাদা পয়েন্ট ও র্যাঙ্কিং পদ্ধতি আছে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হিসাব করলে, রিভিউয়ে সবচেয়ে বেশি সিদ্ধান্ত বদলে গেছে নাইজেল লংয়ের (৩৬.২ শতাংশ)।
আইসিসির ক্রিকেট মহাব্যবস্থাপক জেফ অ্যালারডাইস, সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, দুই ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে ও ডেভিড বুনের সমন্বয়ে গড়া কমিটি এবারের পারফরম্যান্স পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেননের অন্তর্ভুক্তি ও লংয়ের বাদ পড়া।
এলিট প্যানেলে ভারত থেকে এর আগে জায়গা পেয়েছিলেন কেবল শ্রীনিবাস ভেঙ্কাটারাঘবন ও সুন্দরম রবি। ভেঙ্কাটারাঘবন অবসরে গেছেন অনেক আগেই। রবি এলিট প্যানেল থেকে বাদ পড়েছেন গতবছর।
মেনন অবশ্য এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার আগেই তিনটি টেস্ট পরিচালনা করেছেন। পাশাপাশি আম্পায়ারিং করেছেন ২৪ ওয়ানডে ও ১৬ টি-টোয়েন্টিতে।
আম্পায়াদের এলিট প্যানেল :
আলিম দার (পাকিস্তান), কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), মারাইস ইরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা), ক্রিস গ্যাফানি (নিউ জিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), ব্রুস অক্সেনফোর্ড (অস্ট্রেলিয়া), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
ম্যাচ রেফারিদের এলিট প্যানেল :
রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), ক্রিস ব্রড (ইংল্যান্ড), জেফ ক্রো (নিউ জিল্যান্ড), অ্যান্ডি পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।