ভারতের বিপক্ষে স্মিথের রেকর্ড এমনিতে দুর্দান্ত। ১০ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি, ব্যাটিং গড় ৮৪.০৫। তবে দুই দলের সবশেষ সিরিজে স্মিথ ছিলেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে। সেই সিরিজেই ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাদের পেসারদের।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ওই সিরিজে ৪ টেস্টে ২১ উইকেট নিয়েছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি নিয়েছিলেন ১৬টি। ৩ টেস্ট খেলে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা। অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েও তারা ছাপিয়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসত্রয়ী মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড ও প্যাট কামিন্সকে।
সব ঠিক থাকলে, এ বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরে একই পেস আক্রমণ নিয়ে যাবে ভারত। এবার তাদের সামনে থাকবে স্মিথকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ।
সম্ভাব্য এই লড়াইয়ের কথা ভেবে এখনই জিভে জল চলে আসছে আথারটনের। সনি টেন টিভির একটি শোতে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, স্মিথ ও ভারতীয় বোলারদের লড়াই উপভোগ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর অ্যাশেজ দিয়ে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন স্মিথ। ফিরেছেন যেন হারানো সময়টাকে পুষিয়ে দেওয়ার পণ করে। ইংল্যান্ডে সেই সিরিজে ৪ টেস্ট খেলে ৩টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ৭৭৪ রান করেছেন ১১০.৫৭ গড়ে।
ধারাভাষ্যকার হিসেবে আথারটন ওই অ্যাশেজে নিবিড়ভাবে দেখেছেন স্মিথের ব্যাটিং। দারুণ মজাও পেয়েছেন। স্মিথের অসাধারণ ধারাবাহিকতার মতোই আলোচনার শেষ নেই তার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে। ব্যাটিং ব্যাকরণকে বুড়ো আঙুল দেখানো টেকনিকেও তিনি অবিশ্বাস্যরকমের সফল।
ইংল্যান্ডকে ৫০ টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম অধিনায়ক আথারটনের মতে, ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণেই স্মিথকে দেখা আনন্দময়।
“সবাই যদি একইভাবে খেলে, তাহলে খেলাটি হয়ে যায় বিরক্তিকর। স্মিথ প্রচলিত ধারার বাইরের ক্রিকেটার এবং এভাবে সফলও হয়েছে, এটা আমি দারুণ পছন্দ করি। তার ব্যাটিং আমার জন্য খেলাটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। কিন্তু স্মিথকে আউট করার কোনো সহজ উপায় আমার জানা নেই।”
তবে ভারতের পেস আক্রমণের যে অস্ট্রেলিয়াতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই আছে, সেটি উল্লেখ করতে ভোলেননি আথারটন।
“ভারতীয় সমর্থকদের যা আশা দেখাতে পারে, তা হলো তাদের বোলিং শক্তি। শক্তিশালী পেস আক্রমণ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় জয়ী হওয়া খুবই কঠিন।”
“আমার দৃষ্টিতে, গত কয়েক বছরে ভারতে যে দারুণ ব্যাপারটি হয়েছে, তা হলো মানসম্মত ফাস্ট বোলার বের করার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন। যদি পেছনে ফিরে যাই, ১৯৯৩ সালে যখন ভারতে খেলেছি, তারা ছিল পুরোপুরি স্পিন নির্ভর। ভালো ফাস্ট বোলার তখনও ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় না সংখ্যার দিক থেকে এতটা গভীরতা ছিল।”