সেই ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন মালিক। ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বাধীন ওই দলের সবাই ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক আগে। মালিকের পরে জাতীয় দলে এসে এখন দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল-হক, ব্যাটিং কোচ ইউনিস খান। কিন্তু মালিক খেলে চলেছেন এখনও। পাকিস্তান ক্রিকেটের কয়েকটি প্রজন্মের স্বাক্ষী তিনি, দেখেছেন অনেক চড়াই-উৎরাই।
সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক রমিজ রাজা কিছুদিন আগে বলেছিলেন, মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজের এখন সম্মানের সঙ্গে অবসর নেওয়া উচিত। তবে পাকিস্তানের একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩৮ বছর বয়সী মালিক জানালেন, সহসাই ক্রিকেট ছাড়ার ইচ্ছে তার নেই।
“ এই মুহূর্তে আমি যে কোনো সময়ের মতোই ফিট। এখনও আমি ক্রিকেট খেলতে দারুণ ক্ষুধার্ত এবং অবসরের আগে আরও কিছু অর্জন করতে চাই। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হলে, মিডিয়ায় কাজ করতে চাই। হয়তো নিজের কোনো শো থাকবে এবং ধারাভাষ্যে ও স্টুডিওতেও কাজ করতে চাই।”
মালিক সামনে খেলবেন ইংল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। দৃষ্টি রাখছেন তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য এই অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, এবারও শিরোপা জয়ের সামর্থ্য আছে পাকিস্তানের।
“ আমি বিশ্বাস করি, আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। এই ধরনের টুর্নামেন্ট জিততে খুব ভালো বোলিং আক্রমণ লাগে, যেটা আমাদের আছে। শক্তিশালী বোলিং আক্রমণকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ব্যাটিং লাইন-আপও আমাদের আছে। পাশাপাশি আমাদের ফিল্ডিংয়েও এখন অনেক উন্নতি হয়েছে, বড় মাঠে (অস্ট্রেলিয়াতে) যেটা গুরুত্বপূর্ণ।”
“ আমাদের ফিটনেসে উন্নতি হয়েছে, আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো। টুর্নামেন্ট যদি হয়, আমি মনে করি, শিরোপার দাবিদারদের মধ্যে আমরাও খুব ভালোভাবে থাকব।”