এনটিনির চোখে কঠিনতম ব্যাটসম্যান লারা

অস্ট্রেলিয়া, ভারত সফর ছিল মাখায়া এনটিনির জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে এই দুই দেশের কেউ নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই পেসারের চোখে তার মুখোমুখি হওয়া কঠিনতম ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2020, 01:40 PM
Updated : 20 June 2020, 01:40 PM

টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা এনটিনি দুই সংস্করণেই ছিলেন সফল। দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার ১০১ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৩৯০ উইকেট। ১৭৩ ওয়ানডেতে তার উইকেট ২৬৬টি।

ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান লারার বিপক্ষে অবশ্য অতটা সফল নন এনটিনি। ১১ টেস্টে ৪ বার এবং ১৭ ওয়ানডেতে ২ বার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে পেরেছিলেন তিনি। লারার বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য নিজেকে কতটা প্রস্তুত রাখতে হতো, জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার পমি এমবাংওয়ার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম আলাপচারিতায় জানান এনটিনি।

“স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই কঠিন। কিন্তু যখন বোলিং করার জন্য সবচেয়ে কঠিনতম ব্যাটসম্যানের প্রসঙ্গ আসে, লারার কথা মনে পড়ে। তার বিপক্ষে বোলিং করা ছিল খুব কঠিন। তিনি ওইরকম ব্যাটসম্যানদের একজন, যার বিপক্ষে ঘুম থেকে উঠলাম আর বল করলাম, এমন করা যায় না। নিজেকে ১১০ শতাংশ প্রস্তুত রাখতে হয়।”

১৩১ টেস্ট খেলা লারা ৫২.৮৮ গড়ে করেছেন ১১ হাজার ৯৫৩ রান। নামের পাশে আছে ৩৪ সেঞ্চুরি ও ৪৮ হাফ সেঞ্চুরি। টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪০০ রানের ইনিংসও তার দখলে। ১৯ সেঞ্চুরি ও ৬৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ১০ হাজার ৪০৫ রান করেছেন ২৯৯ ওয়ানডেতে।

দুর্দান্ত এই ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা করত যে কোনো দল। দক্ষিণ আফ্রিকার চিন্তা-ভাবনা কেমন থাকতো, শোনালেন এনটিনি।

“তার মনোভাব সম্পর্কে জানতে আমরা তাকে নিয়ে অনেক গবেষণা করতাম। আমাদের কিপার মার্ক বাউচার এসে বলত, ‘লারা যদি ইনিংসের মাঝে ব্যাট না বদলায় তাহলে আমরা বিপদে পড়তে যাচ্ছি। আর সে যদি ব্যাট বদলায়, এর মানে সে ছন্দে নেই।’ তাই সব বোলার লারার ব্যাট বদলানোর সংবাদ শোনার জন্য উৎসুক থাকতো। কারণ, আমরা জানতাম এটা হলেই তাকে দ্রুত আউট করা যাবে।”

ক্যারিয়ারে আছে কত অর্জন। নিয়েছেন কত কত উইকেট। তবে এনটিনির কাছে নিজের সেরা পারফরম্যান্স, লারাকে একই টেস্টে দুইবার আউট করা। ২০০১ সালে ত্রিনিদাদ টেস্টে ১২ ও শূন্য রানে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার।

“এক ম্যাচে দুইবারই আমি তার উইকেট নিয়েছিলাম। তখন যেন খুশির জোয়ারে ভাসছিলাম। বিশেষ মুহূর্ত ছিল সেটি।”