ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে ক্যারিবিয়ানে আগুন ঝরানো বোলিং করেছিলেন রোচ। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বেঁধে দিয়েছিলেন সুর। সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ৭৭ রানে। পরের টেস্টে দুই ইনিংসেই নেন চারটি করে উইকেট। এবারও ইংলিশদের চেপে ধরার হুমকি এরই মাঝে দিয়েছেন তিনি।
নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে টেস্টে খেলতে পারেন গ্যাব্রিয়েল। আলজারি জোসেফ, শেমার হোল্ডারের মাঝে কোচ ফিল সিমন্স দেখেন অমিত সম্ভাবনা।
ব্যাকআপসহ মোট ১১ পেসার নিয়ে ইংল্যান্ডে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওশেন টমাস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, কিওন হার্ডিং আছেন তাদের মাঝে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা জফ্রা আর্চার জন্মভূমি ছেড়ে খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। তবে পেস বোলিংয়ে প্রতিভার কমতি নেই ক্যারিবিয়ানদের। ইস্টউইক জানান, সফরে পেস বোলারদের ওপর বেশি নির্ভর করবেন তারা।
“ফাস্ট বোলিং আমাদের মূল শক্তি। শ্যানন, জেসন, আলজারি, কেমার-এই চার জন ফাস্ট বোলার এই দলে আছে। একই সঙ্গে এই সফরে আমরা কয়েকজন তরুণ পেসারকে পেয়েছি; শেমার, টমাস, অ্যান্ডারসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবারও ফাস্ট বোলারে সমৃদ্ধ হতে শুরু করেছে। এটা আমাদের জন্য দারুণ একটি সময়। তাই আমরা এই সফরের দিকে চেয়ে আছি এবং ফাস্ট বোলাররা কেমন করছে তা দেখার অপেক্ষায় আছি।”
২০১৭ সালের অগাস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত খেলা পেসারদের মধ্যে বোলিং স্ট্রাইক রেটে শীর্ষ তিন স্থানই ক্যারিবিয়ানদের। এ সময়ে ১৯ টেস্ট খেলা রোচের স্ট্রাইক রেট ৪৫.৬, ১৭ টেস্ট খেলা হোল্ডারের স্ট্রাইক রেট ৪৬.৯ এবং ১৯ টেস্ট খেলা গ্যাব্রিয়েলের ৪৭.৬। পঞ্চাশের উপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে পরের তিন স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন, আর্চার ও স্টুয়ার্ট ব্রড।
দারুণ এই উন্নতির পেছনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুফল দেখছেন ইস্টউইক।
“আমরা যেটা করেছি, তা হলো আমাদের ফিটনেসের উন্নতি। এই জিনিসটাই মূল। আশির দশকের পেসারদের কথা ভাবুন, তাদের একটা জিনিসই ছিল, ফিটনেস। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ফাস্ট বোলিং কী, তারা সেটা বুঝতে পারছে, তাদের বয়স বাড়ছে সেটা বুঝতে পারছে।”
“কেমার ও শ্যানন এই বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা এখন খুব, খুবই অভিজ্ঞ। গত দুই বছরে হোল্ডার আরও ভালো টেস্ট বোলারে পরিণত হয়েছে। জোসেফ তার সামর্থ্য দেখানো শুরু করেছে। আমাদের চার জন ফাস্ট বোলার আছে, যাদের নিয়ে আমরা বিশ্বের যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি।”