টকস্পোর্টস ফলোয়িং অনের পডকাস্টে আলাপচারিতায় কারস্টেন জানান, কীভাবে টেন্ডুলকারকে কক্ষপথে ফিরতে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
গ্রেগ চ্যাপেলের অধীনে ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ভারত। এই বিপর্যয়ের জন্য নিজের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ -তে চ্যাপেলকে দায়ী করেছেন টেন্ডুলকার। ওই বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ওপেনার হিসেবে খেলা টেন্ডুলকারকে খেলান চারে।
কাজে আসেনি সেই পরিবর্তন। উল্টো ছন্দ হারিয়ে ফেলেন টেন্ডুলকার। সব মিলিয়ে ভাবতে শুরু করেন খেলা ছাড়ার কথা। জীবনের অমন এক বাঁকে যেন বন্ধু হয়ে এসেছিলেন কারস্টেন।
“আমি যদি সেই সময়ের শচিনের কথা ভাবি, যখন আমি ভারতে গিয়েছিলাম তখন সে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিল। তার মতে, সে নিজের অপছন্দের পজিশনে ব্যাট করছিল। ক্রিকেট মোটেও উপভোগ করছিল না। তিন বছর পর, সেই টেন্ডুলকারই তিন বছরে ১৮টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করে। পছন্দের ব্যাটিং পজিশনে ফিরেছিল সে এবং আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম।”
“আমি কেবল তার সফল হওয়ার একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমি তাকে কিছুই বলিনি। সে তো খেলাটা বোঝে, তার শুধু প্রয়োজন ছিল একটা পরিবেশ। শুধু তার একার নয়, তাদের সবারই ইতিবাচক একটা পরিবেশ দরকার ছিল যেখানে তারা সেরাটা দিতে পারবে।”
ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই সেই সময়ে ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে চলে এসেছিলেন। কারস্টেন মনে করেন, সেই সময়ে তার মতো একজনকে হয়তো খুঁজছিলেন তারা।
অবসরের ভাবনা থেকে ফেরা টেন্ডুলকারের পরের সময়টা কেটেছিল দুর্দান্ত। ৩৫ পেরুনোর পর ৪৯.৬৩ গড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেন ৬ হাজারের বেশি রান। ২০০৮ থেকে ১০১৩ পর্যন্ত করেন ১৯ সেঞ্চুরি।