আগামী অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে তিনটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা পাকিস্তান দলের। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যদিও সফরটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সম্ভাব্য ওই সফরের জন্য শুক্রবার ২৯ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে পিসিবি। দলে দ্বিতীয় কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন সরফরাজ। আপাতত উইকেটের পেছনে পাকিস্তানের প্রথম পছন্দ মোহাম্মদ রিজওয়ান।
গত অক্টোবরে অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি সব সংস্করণেই দল থেকে বাদ পড়েন সরফরাজ। পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ’ থেকে নেমে যান ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
দল থেকে বাদ পড়ার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক সেঞ্চুরিতে ৪৮.৫৭ গড়ে ৩৪০ রান করেন সরফরাজ। ভালো যায়নি পিএসএল; ২১.১৪ গড়ে করেন ১৪৮ রান। ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান জানান, বাদ পড়ার পর কেবল নিজের উন্নতি নিয়েই কাজ করেছেন। প্রস্তুতি নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল-হকের পরামর্শ অনুযায়ী।
“বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত ছিলাম। এরপর শেষ এই তিন মাসে কোয়ারেন্টিনে প্রচুর ফাঁকা সময় ছিল। সুযোগ পেয়েছিলাম ফিরে দেখার এবং নিজের ফিটনেসের উন্নতি করে প্রত্যাশিত সুযোগের জন্য।”
“মিসবাহ ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে ফিটনেসের উন্নতির জন্য এই সময়টা স্মার্টলি কাজে লাগানোর এবং আমি যে ভুলগুলো করেছিলাম সেগুলো নিয়ে ভাবার তাগিদ দিয়েছিলেন।”
সব মিলে এই বিরতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ৪৯ টেস্ট, ১১৬ ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি খেলা সরফরাজ।
“সব মিলে আমার উপলব্ধি হলো, জাতীয় দল থেকে এই ৭-৮ মাসের বিরতি খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করেছে।”
দীর্ঘ দিন দলে সরফরাজের ব্যাক-আপ হিসেবে ছিলেন রিজওয়ান। গত বিশ্বকাপের আগে সেই সময়ের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেন। সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান রিজওয়ান। দুই সেঞ্চুরিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত হওয়ার দাবি জানিয়ে রাখেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। এরপরও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাননি। তবে বিশ্বকাপের পর হয়েছেন দলের প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার।
রিজওয়ানের কাছে জায়গা হারানোয় আক্ষেপ নেই সরফরাজের। দলে এই প্রতিযোগিতা সবসময়ই ছিল বলে মনে করেন তিনি।
“এমনকি আপনি যদি ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সময়ের দিকে তাকান, তখন ছিলেন মইন খান ও রশিদ লতিফ। বিভিন্ন সময়ে তারা একে অন্যের চেয়ে ভালো খেলে দলে এসেছে। বর্তমানে দলের জন্য রিজওয়ান ভালো খেলছে এবং অবশ্যই সে দলের প্রথম পছন্দ আর আমি ব্যাক-আপ।”
“আপনার সঙ্গী ভালো খেলছে এবং আপনাকে দলের বাইরে রাখছে, এটা কোনোভাবেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। অবশ্যই আমি ভুল করেছি, আর এজন্য আমি বাইরে। কিন্তু এখন আমি লড়াইয়ে ফিরেছি এবং দলের সঙ্গে আছি…অবশ্যই আমি আমার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।”