অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে পাকিস্তান জাতীয় দলে হায়দার

গত ফেব্রুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন হায়দার আলি। ৬ মাস না যেতেই তিনি পৌঁছে গেলেন স্বপ্ন পূরণের নতুন ঠিকানায়! ১৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ড সফরের পাকিস্তান দলে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2020, 08:25 AM
Updated : 12 June 2020, 08:25 AM

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে শুক্রবার ২৯ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। তরুণ হায়দারের পাশাপাশি আরেকটি চমক, ৩৬ বছর বয়সী পেসার সোহেল খানের ফেরা।

সিরিজের আনুষ্ঠানিক সূচি না দেওয়া হলেও দল ঘোষণার পর আর বলার অপেক্ষা রাখে না, সফরটি হচ্ছে নিশ্চিতভাবেই। তিন টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজটি হওয়ার কথা অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে। তবে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টিনে থাকতে ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পাকিস্তান দল ইংল্যান্ডে যাবে এ মাসের শেষ দিকেই।

প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল-হক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে দৃষ্টি রেখে দলে নেওয়া হয়েছে হায়দারকে। যুব বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে একটি ফিফটি ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে আলোচনায় উঠে আসেন বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সুপার লিগের পারফরম্যান্সে। ওই টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে ২৩৯ রান করেন ১৫৮.২৭ স্ট্রাইক রেটে।

হায়দার ছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই এই স্কোয়াডে কেবল আর একজনের, স্পিনিং অলরাউন্ডার কাশিফ ভাট্টি। তবে তিনি ঠিক নতুন মুখ নন। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ দুটি সিরিজের দলেও ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার, সুযোগ পাননি ম্যাচ খেলার।

দলে ফেরা পেসার সোহেল পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৯ টেস্ট ও ৫ টি-টোয়েন্টি। সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন প্রায় তিন বছর আগে। এবার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে যে খুব ভালো পারফর্ম করেছেন, সেটির প্রমাণ নেই পরিসংখ্যানে। ৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২২টি। তবে মিসবাহ বলছেন, “আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে সোহেলের বোলিংয়ে, যেটির প্রতিফলন ততটা পড়েনি পরিসংখ্যানে।”

সবশেষ সিরিজে দলে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ না পাওয়া ফাওয়াদ আলম টিকে গেছেন এই সিরিজেও। ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০০৯ সালে, সবশেষ টি-টোয়েন্টি ২০১০ সালে।

সফর থেকে আগেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ আমির ও ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। চোটের কারণে নেই পেসার হাসান আলি। আমিরের মতোই টেস্ট থেকে বিরতিতে যাওয়া পেসার ওয়াহাব রিয়াজ আছেন দলে।

চার জনের একটি রিজার্ভ তালিকাও দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ ও ২৫ জুন সফরপূর্ব কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে দলের সবার। মূল স্কোয়াডের কেউ পরীক্ষায় উতরাতে না পারলে বদলী নেওয়া হবে রিজার্ভ থেকে।

ইংল্যান্ডে গিয়ে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিতে থাকতে হবে পাকিস্তান দলকে। এরপর তারা নেবে প্রস্তুতি। এজন্যই মূল সিরিজ শুরুর প্রায় ৫ সপ্তাহ আগেই দল রওনা হবে ইংল্যান্ডে। তাদের প্রথম ঠিকানা হতে পারে বার্মিংহাম।

পাকিস্তানের আগেই আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। সিরিজগুলি আয়োজন করা ‘জীবাণুমুক্ত’ পরিবেশে ও দর্শকশূন্য মাঠে।

পাকিস্তান দল: আজহার আলি (টেস্ট অধিনায়ক), বাবর আজম (টেস্ট সহ-অধিনায়ক, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক), আবিদ আলি, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, শান মাসুদ, আসাদ শফিক, ফাওয়াদ আলম, হায়দার আলি, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, ইমরান খান, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সোহেল খান, উসমান খান শিনওয়ারি, ওয়াহাব রিয়াজ, ইমাদ ওয়াসিম, কাশিফ ভাট্টি, শাদাব খান, ইয়াসির শাহ।

রিজার্ভ : বিলাল আসিফ, মোহাম্মদ নওয়াজ, ইমরান বাট ও মুসা খান।