দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানই রান করেন অনায়াসে। দুই জনেরই কাভার ড্রাইভ দৃষ্টিনন্দন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণেই ৫০-এর উপরে গড় কোহলির। বাবরের টেস্টে গড় ৪৫-এর উপরে, ৫০-এর উপরে গড় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে।
তাদের দুজনকে অনেকে একই পাল্লায় রাখলেও নিজেকে কোহলির চেয়ে অনেক পেছনে রাখেন বাবর। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলের সঙ্গে ক্রিকবাজে এক অনলাইন আলাপচারিতায় কোহলির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
“তিনি (কোহলি) অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আমি এখনও তার পেছনে। আমি তার মতো ভালো হওয়ার এবং দেশের জন্য ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব। এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং কৌশল ও শট খেলার ধরণ একই রকম। আমার মনে হয়, আমাদের দুজনের কিছু শট একই রকম।”
২৫ বছর বয়সী তারকা নিজেকে কারও সঙ্গে তুলনা করতে চান না। তবে অনুসরণ করেন শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের, দেখেন কিভাবে তারা কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন, কিভাবে কঠিন সময়গুলো মোকাবেলা করেন।
“গ্রেটদের সঙ্গে আমি নিজের তুলনা করি না। আমি যখন খেলি, তখন কাউকে কোনো কিছু দেখানোর অথবা কোনোকিছু প্রমাণ করার চেষ্টা করি না। আমার কাছে বিষয়টা হলো, নিজের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট কি-না।”
তবে নিজের পারফরম্যান্সে বাবর খুশি হন কমই। উন্নতির জায়গাগুলোই তাকে করে আরও ক্ষুধার্ত।
“যতক্ষণ পাকিস্তানকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করতে পারি, ততক্ষণ আমি খুশি। খুব কমই আমি নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হই, কারণ সবসময় আমি উন্নতির জায়গা দেখি।”
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের বাইরে আছেন বাবরও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অগাস্টে মাঠে ফিরতে পারেন তিনি। অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে তিনটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান।