করোনাভাইরাসের প্রকোপ না থাকলে এতদিনে এবারের এশিয়া কাপের ভেন্যু, সূচি সবই ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু সময়ের থাবায় থমকে আছে সব। টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতেই সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভা।
এসিসির সভাপতি ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এবারের সভায় বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে প্রথমবার অংশ নিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসিসি জানিয়েছে, “কোভিড-১৯ মহামারির বাস্তবতায় এবারের এশিয়া কাপের সম্ভাব্য ভেন্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে সভায় এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যথাসময়ে।”
আরেকটু বিস্তারিত জানা গেল সভায় অংশ নেওয়া বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরির কাছ থেকে। টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট অগগ্রতি হয়েছে বলেই জানালেন তিনি।
“ এশিয়া কাপ কোথায় এবং কিভাবে আয়োজন করা যায়, এসব নিয়েই কথা হয়েছে। যথেষ্ট পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। যেসব জায়গায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ কম বা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে, তেমন কোনো জায়গাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। কিছুদিন পর আবার সভায় বসে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে।”
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। তবে ভারত সেখানে সফরে যাবে না বলে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এগিয়ে ছিল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত আছে ভালোভাবেই। গত এশিয়া কাপও (২০১৮) হয়েছে দুবাই-আবু ধাবিতে।
এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে আরেকটি সংশয়ের জায়গা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের ভাগ্য এখনও ঝুলে আছে। এশিয়া কাপের এখনকার রীতি, ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ হয় ওয়ানডে সংস্করণে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দৃষ্টি রেখে এবার সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল ২০ ওভারের সংস্করণে। কিন্তু বিশ্বকাপ না হলে এশিয়া কাপ আয়োজনের অগ্রগতি কতটা বাস্তব?
বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
“ বিশ্বকাপ তো অনেক বড় আসর, ১৬ দলের টুর্নামেন্ট। আয়োজনের ব্যাপকতা অনেক। এশিয়া কাপ সেই তুলনায় কয়েকটি মাত্র দেশ নিয়ে হয়। ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক সহজ।”
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে আপোস করা হবে না, এটিও জানিয়ে দিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
“টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টিন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সবরকম ব্যাপার নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এসিসি সভাপতি স্পষ্ট করেই বলেছেন, কোনোরকম ঝুঁকি নেওয়া হবে না।”
এশিয়া কাপ ছাড়াও ২০২২ এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত থাকায় এসিসির সম্পৃক্ততা ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়।