স্যামিকে 'কালু' ডাকা নিয়ে আঁধারে সতীর্থরা

বর্ণবাদের শিকার হওয়ার যে অভিযোগ ড্যারেন স্যামি করেছেন, তা উড়িয়ে দিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তিন সাবেক ক্রিকেটার। ইরফান পাঠান, পার্থিব প্যাটেল ও ভেনুগোপাল রাওয়ের দাবি, আইপিএলে খেলার সময় ‘কালু’ নামে স্যামিদের ডাকতে শোনেননি তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2020, 11:46 AM
Updated : 8 June 2020, 12:22 PM

আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় নাকি স্যামি ও শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকে ডাকা হতো ‘কালু’ নামে। শুরুতে শব্দটির অর্থ জানতেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক। তবে এখন জানতে পারায় বেজায় চটেছেন তিনি। শনিবার ইনস্টাগ্রামে পুরনো অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।

“মাত্রই আমি জানতে পারলাম ‘কালু’ শব্দের অর্থ, আইপিএলে সানরাইজার্সের হয়ে খেলার সময় যে নামে ডাকা হতো। আমাকে ও থিসারা পেরেরাকে ওই নামে ডাকত তারা। আমি ভেবেছিলাম, এটার মানে তেজী ঘোড়া। কিন্তু আমার আগের পোস্ট থেকে জানতে পারলাম এটির অর্থ ভিন্ন এবং আমি খুবই ক্ষুব্ধ।”

মাত্রই অর্থ জানতে পারায় আগে অভিযোগের প্রশ্নই উঠে না। এরপরও ভারতীয় এক বোর্ড কর্মকর্তার দাবি, যদি ওই নামে ডাকা হয়েই থাকে তাহলে সেই সময়েই অভিযোগ জানানো উচিত ছিল স্যামির।

“তবে সে যদি চায় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারে। প্রয়োজন হলে বোর্ড তদন্ত করবে।”

হায়দরাবাদে স্যামির তিন সতীর্থ এই ধরনের কিছু কখনও শুনেছেন বলে মনে করতে পারলেন না। দা টেলিগ্রাফকে কিপার-ব্যাটসম্যান পার্থিব নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান।

“আমার মনে হয় না, আমি কাউকে ওই সব (বর্ণবাদী) শব্দ বলতে শুনেছি।”

বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা রাওর কণ্ঠে যেন পার্থিবের কথার প্রতিধ্বনি, “নিশ্চিত নই…এই ব্যাপারে অবগত নই।”

স্যামি-থিসারার সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছে বলে জানা নেই ইরফানেরও। সাবেক এই অলরাউন্ডার অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে স্থানীয় খেলোয়াড়দের বর্ণবাদের শিকার হতে দেখেছেন। সমস্যাটি এড়াতে ভারতীয় খেলোয়াড়দের যথাযথ শিক্ষার ব্যাপারটা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

“আমি সেখানে ২০১৪ সালে স্যামির সঙ্গে ছিলাম। এমনটা সত্যিই হয়ে থাকলে তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতো বলে আমার মনে হয়। তাই এমন কিছু ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না, কারণ তেমন কোনো আলোচনাই হয়নি।”

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের অনেকের মতো প্রতিবাদে সোচ্চার স্যামি। গত মঙ্গলবার আইসিসি ও বিভিন্ন দেশের বোর্ডকে তিনি অনুরোধ করেন বর্ণবাদ ও সামাজিক অবিচার নিয়ে আরও সোচ্চার হতে।