‘লর্ডসে তোমার সেঞ্চুরি কয়টি’, পন্টিংকে প্রশ্ন আগারকারের

দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারে রিকি পন্টিং করেছেন ১৩ হাজারের বেশি রান। সেঞ্চুরি ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪১টি। তবে লর্ডসে কখনও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ক্রিকেট তীর্থ বলে পরিচিত এই মাঠে একটি টেস্ট খেলেই সেই স্বাদ পেয়েছেন অজিত আগারকার। বিষয়টি নিয়ে একবার মজা করে পন্টিংকে খোঁচা দিয়েছিলেন সাবেক ভারতীয় পেসার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2020, 10:22 AM
Updated : 8 June 2020, 11:04 AM

ভারতের ২০০২ সালের ইংল্যান্ড সফরে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন আগারকার। লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ছিলেন ১০৯ রান করে। তাতে তার নাম খোদাই হয় লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। পন্টিংসহ ব্রায়ান লারা, শচিন টেন্ডুলকার, মাইক আথারটন, জ্যাক ক্যালিস, ভিভিএস লক্ষনের মতো আরও অনেক গ্রেট ব্যাটসম্যান এই অনার্স বোর্ডে নাম তুলতে পারেননি।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় টেলিভিশন উপস্থাপক গৌরব কাপুরের সঙ্গে আলাপচারিতায় আগারকারের কাছে প্রশ্ন ছিল, ব্যাপারটা নিয়ে টেন্ডুলকারকে কখনও খোঁচা দিয়েছিলেন কিনা। তখনই আগারকার জানালেন, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার সময় পন্টিংয়ের সঙ্গে একটি ঘটনার কথা।

“আমি পন্টিংকে একবার বলেছিলাম। তখন সে আমার সঙ্গে কেকেআরে খেলত। হাসতে হাসতে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘লর্ডসে তোমার সেঞ্চুরি আছে কয়টি’?”

এরপরই আগারকার বললেন, পন্টিং-টেন্ডুলকারের প্রতি তার কত শ্রদ্ধা, অর্জনের মানদণ্ডে তাদের উচ্চতা কত ওপরে।

ছবি: উইজডেন

“তাদের দেখুন, তারা যা অর্জন করেছে সেটির সঙ্গে আমি আমার সেঞ্চুরি সহজেই অদলবদল করতে পারি। তাদের এটি জিজ্ঞেস করা খুব অসম্মানজনক হবে। তবে এটি সবসময়ই মজার। আমি ভাগ্যবান লর্ডসে সেঞ্চুরি পেয়েছি। বিশেষ একটা স্মৃতি।”

আগারকারের সেই সেঞ্চুরিতে বড় অবদান ছিল আশিস নেহরার। শেষ উইকেট জুটিতে দুজন গড়েছিলেন ৬৩ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে আট বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়া নেহরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ বলে করেছিলেন ১৯। তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আগারকারের।

“প্রথম ইনিংসে সে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিল, চারবার আঘাত পেয়েছিল-দুইবার প্যাডে লেগেছিল, ফ্লিন্টফের একটা বল তার পাঁজরে লেগেছিল এবং পঞ্চম বলে আউট হয়। প্রথম ইনিংস দেখে থাকলে কেউ বিশ্বাস করবে না সে টিকে ছিল (দ্বিতীয় ইনিংসে)।”

“যখন আমি সেঞ্চুরি পেলাম, তখন সেই আমাকে বলেছিল, ‘আউট হয়ে যেও না। আমি ফিফটি পূরণের চেষ্টা করতে চাই।’ আমার মনে আছে, আমার সেঞ্চুরির পর সে ফ্লিন্টফকে ছক্কায় উড়িয়েছিল, বল হসপিটালিটি বক্সে লেগে মাঠে ফিরে এসেছিল। সেঞ্চুরির জন্য আমি তার কাছে ঋণী।”