ঘটনা ২০১১ সালের। সেবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি ছিল টেন্ডুলকারের ৯৯তম শতরান। বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড সফরে ওভাল টেস্টে তার সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু ৯১ রানে ব্রেসনানের বলে তাকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার টাকার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পের বাইরের অংশে কেবল সামান্য স্পর্শ করছিল।
এরপর যা হয়েছিল, ইয়র্কশায়ার ক্রিকেটের ডিজিটাল আয়োজনে সেই স্মৃতিচারণা করলেন ব্রেসনান।
“বলটা হয়তো লেগ স্টাম্প মিস করছিল, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার হিল (টাকার) তাকে আউট দিয়ে দেন। টেন্ডুলকারের রান তখন ছিল আশির মতো (৯১), নিশ্চিতভাবেই সেঞ্চুরি পেতে যাচ্ছিলেন। আমরা সিরিজ জিতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে যাই। ”
“আমি ও আম্পায়ার, আমরা দুজনই মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলাম। ওই ঘটনার অনেক দিন পর পর্যন্ত পেয়েছি। আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে টুইটারে। তার (টাকার) বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে লোকে হুমকি দিয়েছে। সত্যিকার অর্থেই খুন করার হুমকি দিয়ে তাকে লিখেছিল, ‘কত বড় সাহস তুমি টেন্ডুলকারকে এলবিডব্লিউ দাও? বল তো লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল!”
ব্রেসনান জানালেন, টাকার এমনকি নিরাপত্তা রক্ষীও নিয়োগ দিয়েছিলেন নিজেকে বাঁচাতে।
“কয়েক মাস পর তার সঙ্গে আমার দেখা। তিনি বললেন, ‘আমাকে নিরাপত্তা রক্ষী নিতে হয়েছিল…।’ এমনই অবস্থা ছিল, অস্ট্রেলিয়ায় নিজের বাড়িতে পুলিশ প্রহরায় থাকতে হয়েছিল তাকে।”
ওই সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯৪ রানে আউট হয়ে যান টেন্ডুলকার। টেস্টে আর সেঞ্চুরির দেখা তিনি পাননি। শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষাটাও ছিল অনেক দীর্ঘ। অবশেষে ২০১২ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ছুঁয়েছিলেন অনন্য সেই মাইলফলক। ম্যাচটি যদিও পরে দারুণ ব্যাটিংয়ে জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ।