হেটমায়ার-ব্রাভোদের ওপর ক্ষোভ নেই বোর্ডের

বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন না তিন ক্রিকেটার। তবে ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার ও কিমো পলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ নয় বোর্ড। বরং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ বলেছেন, এই তিনজনের সিদ্ধান্ত বোর্ড মেনে নিয়েছে এবং সম্মানও করছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2020, 05:56 AM
Updated : 5 June 2020, 06:10 AM

ইংল্যান্ড সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট স্কোয়াড থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন এই তিন ক্রিকেটার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তারা যেতে চান না এই সফরে। অতীতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে নানা সময়ে অনেকবারই ঝামেলা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের। এবার প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য তাই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে স্বস্তি হয়েই এসেছে।

ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে কথোপকথনে গ্রেভ জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের তারা আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, মনে সামান্যতম সংশয় থাকলেও সফরে না যেতে, কারণ সেটা তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। হেটমায়ার, ব্রাভো ও পলের সফরে না যেতে চাওয়ার মূল কারণ পারিবারিক।

তিনজনের সিদ্ধান্তের পেছনের কারণও আলাদা ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাহী। পেস বোলিং অলরাউন্ডার পল বোর্ডের কাছে পাঠানো আবেগময় ই-মেইলে জানিয়েছেন বিস্তারিত।

“ কিমো পল তার বিশাল পরিবারের একমাত্র উপর্জনকারী। তার কিছু হলে পরিবার কীভাবে চলবে, এটি নিয়ে সে সত্যিই দুর্ভাবনায় ছিল। তার ব্যাপারটি জানিয়ে আমাদের কাছে লিখেছে যে, ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়েই তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, ইংল্যান্ডে যেতে সে স্বস্তি পাচ্ছে না।”

“সে খুব আবেগময় ভাষায় লিখেছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে কতটা ভালোবাসে এবং এই সিদ্ধান্ত কতটা কঠিন ছিল। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর তার মনে হয়েছে, সফরে যাওয়া ঠিক হবে না।”

গ্রেভ জানিয়েছেন, হেটমায়ার সফরে যাচ্ছেন না, কারণ ‘পরিবারকে রেখে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া তার নিরাপদ মনে হচ্ছে না এবং স্বস্তি পাচ্ছে না।’

ব্রাভোর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ডের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। এমন কোনো ঝুঁকি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিতে চাননি, যা তার পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রধান নির্বাহী বলেছেন, তিনজনের কারণই তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে এবং কাউকে তারা জোর করবেন না বা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলবেন না।

'জীবাণুমুক্ত পরিবেশে' তিন ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই। তবে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে ক্যারিবিয়ানরা ইংল্যান্ডে যাচ্ছে এক মাস আগেই।