আজমল তখন বিশ্বের সেরা ম্পিনারদের একজন। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ছিলেন বেশ ভীতি জাগানিয়া। সেই ম্যাচে কোহলিদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলেন আজমলই।
অফ স্পিনার আজমলের মূল শক্তি ছিল ‘দুসরা।’ তার দুসরা পড়তে পারা ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন। অনেক সময় তার দুসরা টার্ন করত লেগ স্পিনারদের মতো বা আরও বেশি। কোহলিও সেটিই গেঁথে নিয়েছিলেন নিজের মাথায়। সতীর্থ অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে ভারতীয় অধিনায়ক ফিরে গেলেন সেই দিনটায়।
“ আমি নিজেকে বলেছিলাম যে, তাকে (আজমল) লেগ স্পিনারের মতো করে খেলতে হবে। কারণ তার দুসরা খেলা ছিল খুব কঠিন, অফ স্পিন ততটা ভয়ঙ্কর ছিল না। আমি ঠিক করেছিলাম, তাকে কাভারের ওপর দিয়ে ধারাবাহিকভাবে খেলার চেষ্টা করে যাব। এই কৌশল কাজে লেগে গিয়েছিল। তার দুসরা যখন অকার্যকর করে দিলাম, তার কার্যকারিতাও কমতে থাকল।”
“ ওই ম্যাচে তার বিপক্ষে বেশির ভাগ রানই আমি করেছিলাম অফ সাইডে। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, দুসরায় তাকে থিতু হতে না দেওয়া। চেয়েছিলাম, আমাকে দুসরা করতে সে যেন ভয় পায়, তাহলেই আমি দাপটে খেলতে পারব।”
আজমলের বোলিংয়ে সেদিন লেগ সাইডে ৭ বলে ৭ রান করেছিলেন কোহলি, অফ সাইডে খেলে করেছিলেন ১০ বলে ২৯ রান!
২২ চার ও ১ ছক্কায় কোহলির ১৮৩ রানের সৌজন্যে ৩৩০ রান তাড়ায় অনায়াসেই জিতেছিল ভারত। ৪৩ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ক্যারিয়ারে তার সর্বোচ্চ ইনিংস এখনও সেটি। আজমল ৯ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নিতে পেরেছিলেন ১টি উইকেট।