সম্প্রচার স্বত্ব, টিম স্পন্সর নির্ভর করছে ‘সময়ের ওপর’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক কার্যক্রম চলছে ঢিমে তালে। বিসিবির সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি ও জাতীয় দলের ‘টিম স্পন্সর’ খোঁজার প্রক্রিয়াও একরকম থমকে আছে। দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আপাতত খুব বেশি পথও খোলা নেই। তাই সময় অনুকূলে এলে আবার এসব নিয়ে উদ্যোগী হতে চায় বিসিবি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2020, 10:27 AM
Updated : 30 May 2020, 10:27 AM

আগের টিম স্পন্সর ইউনিলিভারের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি শেষ হয়ে গেছে গত জানুয়ারীতে। এরপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্পন্সর দিয়েই চলছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর স্পন্সর খোঁজার প্রক্রিয়া আর সেভাবে নেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতির মধ্যেই গাজী টিভির সঙ্গে ৬ বছরের সম্প্রচার স্বত্বের চুক্তি শেষ হয়েছে গত মাসে।

আইসিসির সহায়তার বাইরে বিসিবির রাজস্বের বড় উৎস এই দুটি খাত। এজন্যই তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে চায় না বোর্ড। বিসিবি পরিচালক, অর্থ কমিটির প্রধান, বিপণন ও বাণিজ্য বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, ভালো সময়ের অপেক্ষায় আছেন তারা।

“দেশের বাস্তবতা আমাদের বুঝতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা আগের মতো নেই। আমাদের সম্ভাব্য স্পন্সর যারা, তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং সময় চলছে। তাদেরকে গুছিয়ে ওঠার সময় দিতে হবে। আমাদেরও হোম অফিস চলছে, এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতি চলছে।”

“বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড ভ্যালু কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন জার্সি স্পন্সরশীপ থেকে যে টাকা আয় ছিল, এখন সেই আয় অনেক অনেক গুণ বেশি। আমরা চাই দীর্ঘ মেয়াদে ও প্রত্যাশিত অঙ্কের স্পন্সর যেন পাই। সেটির জন্য সময় ও পরিস্থিতি অনুকূলে থাকতে হবে।”

২০১৪ সালে ২ কোটি ২৫ হাজার ডলারের বিসিবির সম্প্রচার স্বত্ব পেয়েছিল গাজী টিভি। ইসমাইল হায়দার জানালেন, প্রাপ্য টাকার পুরোটাই বোর্ড পেয়ে গেছে।

“যে টাকায় সম্প্রচার স্বত্ব পায়, সেটাই তো চূড়ান্ত নয়। কিছু কিছু সিরিজে যেমন ম্যাচ এদিক-সেদিক হয়েছে। কিছু ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি কম হয়েছে। যে ম্যাচগুলি হয়েছে, সেখান থেকে প্রাপ্য টাকার সবটুকু বোর্ড পেয়ে গেছে। পেছনের কোনো কিছু আমাদের বাকি নেই।”

পেছনের কোনো কিছু বাকি নেই বলা হলেও বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার আগের একটি জের এখনও টিকে আছে। ২০০৬ থেকে ২০১২ মেয়াদে সম্প্রচার স্বত্ব পেয়েছিল নিম্বাস, যাদের কাছে এখনও বোর্ডের পাওনা মোটা অঙ্কের টাকা। বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও অঙ্কটি দেড়শ কোটি টাকার আশেপাশে বলে শোনা গেছে নানা সময়ে। দীর্ঘ আইনী লড়াই চালিয়েও সেটির কোনো সুরাহা হয়নি। আইনী জটিলতার কাছে অসহায় বিসিবি এটির কোনো স্পষ্ট ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে না।

“নিম্বাসের টাকা নিয়ে আশা জাগানিয়া কিছু নেই। আগের অবস্থাতেই আছে। আমরা তো অনেক চেষ্টা করলাম, উল্টো মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে আইনী লড়াইয়ে।”