ব্রেসলেটের ৪২ লাখ টাকায় যাদের সহায়তা করবেন মাশরাফি

দেড় যুগের সঙ্গী ব্রেসলেট নিলামে তুলে যে ৪২ লাখ টাকা এসেছে, সেটিকে উপযুক্ত জায়গায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বড় একটি অংশ খরচ করা হবে তার নিজ জেলা নড়াইলে। এছাড়া ঢাকার ৮০ জন ক্রিকেট কোচকে, ডাকসু ও রক্তদাতাদের সংগঠনে দেওয়া হবে কিছু অংশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 02:11 AM
Updated : 24 May 2020, 09:09 AM

ফেইসবুক লাইভে শনিবার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব তথ্য জানান মাশরাফি।

এই দুজনের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় ছিলেন আরও দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। কথোপকথনের শুরুর দিকে তামিম জানতে চাইলেন, ব্রেসলেটের নিলাম থেকে পাওয়া ৪২ লাখ টাকা মাশরাফি কীভাবে খরচ করবেন। মাশরাফি সেটির একটি ধারণা দিলেন।

“যে পরিকল্পনা করেছি, ২৫ লাখ খরচ করব নড়াইলে, বাকিটা বাইরে যত জায়গায় দেওয়া যায়। যেহেতু নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এসেছে, সেই শ্রদ্ধাটা তাদেরকে করতে হবে। নড়াইলের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী, ফাউন্ডেশনের কর্মী যারা আছেন, কয়েক দফায় সভা করেছেন তারা, নড়াইলের অংশের টাকা কীভাবে খরচ করা যায়।”

নড়াইলের বাইরে যেসব জায়গায় সহায়তা করা হবে, সেই পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে জানালেন মাশরাফি। আপাতত জানালেন যেগুলো চূড়ান্ত হয়েছে।

“নড়াইলের বাইরের অংশ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেই যে পরিকল্পনা করেছি, ঢাকা মেট্রোপলিটনের ভেতরে ৮০ জন ক্রিকেট কোচ আছেন, যারা এখন বেকার। কাজ নেই, প্র্যাকটিস করাতে পারছেন না। এটা দ্রুতই দিয়ে দেব। আরও কয়েকটা জায়গা আছে, যেগুলো সামনে আস্তে আস্তে তুলে ধরব।”

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গরীব শিক্ষার্থী যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত, ডাকসুর মাধ্যমে তাদের সহায়তা দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সেই সঙ্গে ব্লাড ডোনারদের সংগঠনে দিচ্ছি। এরকম জায়গা ঠিক করছি আরও। পুরোটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, চেষ্টা করছি পরিকল্পনা সাজানোর।”

মাশরাফির ব্রেসলেটের নিলামের আগেই মুশফিক নিলামে তুলেছিলেন তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট। নিলামে সেটি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ লাখ টাকায় কিনে নেন সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। মুশফিক জানালেন, এই টাকায় তার সহায়তা কার্যক্রম প্রায় শেষ।

“আমি ৫-৬ টা জায়গায় দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপুর উদ্যোগের জায়গায় কিছু দিয়েছি। হুইলচেয়ার ক্রিকেটারদের দিয়েছি কিছু। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হুইলচেয়ার দল আছে একটা, ওদের দিয়েছি। আর আমার বগুড়ায় অনেক লোক আছে, তাদের অবস্থা ভালো নয়। ওখানেও অনেকটা সহায়তা করা হয়েছে। আমার বিতরণ করা প্রায় শেষ।”