নিউ জিল্যান্ডের ভালোবাসা ভুলিনি, উইলিয়ামসনকে তামিম

ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর পেরিয়ে গেছে ১৪ মাস। স্মৃতির ক্ষত সেরে উঠেছে সময়ের প্রলেপে। তবে ওই হামলার পর নিউ জিল্যান্ডের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছে বাংলাদেশ দল, তা এখনও তরতাজা তামিম ইকবালের মনে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক দলের পক্ষ থেকে নিউ জিল্যান্ডের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কেন উইলিয়ামসনের মাধ্যমে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2020, 11:19 AM
Updated : 21 May 2020, 11:19 AM

তামিমের নিয়মিত ফেইসবুক লাইভে বৃহস্পতিবার অতিথি ছিলেন উইলিয়ামসন। দুজনের কথোপকথনের শেষ দিকে তামিম ফিরে গেলেন ক্রাইস্টচার্চ হামলার পরবর্তী সময়টায়। দুঃসহ সময়ে যখন তারা অনুভব করেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের মানুষের আন্তরিকতার ছোঁয়া।

“২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে যা হয়েছে, আমি সেটির গভীরে যেতে চাই না। তবে ঘটনার পর নিউ জিল্যান্ডের সবাই যেভাবে আমাদের দেখভাল করেছে, সবাই হোটেলে এসে জিজ্ঞেস করছিল আমরা ভালো আছি কিনা, ছোট ছোট আরও অনেক ঘটনা, সেসব আজীবন মনে রাখব। নিউ জিল্যান্ডের মানুষ যে ভালোবাসা তখন দেখিয়েছে, আমাদের দলের প্রতিটি সদস্য তা সবসময় মনে রাখবে।”

“তোমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই ছিলেন অসাধারণ। সেই সময়টায় তোমরা যা করেছো, সবকিছুর জন্য বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে আমি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”

গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ দলের নিউ জিল্যান্ড সফরের সময়ের ঘটনা সেটি। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। সেই দুই মসজিদের একটিতে নামাজ পড়তে যাচ্ছিল বাংলাদেশ দল। তখনই ঘটে ঘটনাটি। যেতে একটু দেরি হওয়ায় অল্পের জন্য ক্রিকেটারদের পড়তে হয়নি হামলাকারীর গুলির সামনে। তবে ভয়াবহতা তারা দেখেছেন খুব কাছ থেকে। ঘটনার পর দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয় বাংলাদেশ দলকে।

তামিমের কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত উইলিয়ামসন তাকে জানালেন ধন্যবাদ।

“ওই ঘটনা ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। তোমরা ও আরও যারা এই ঘটনার কাছাকাছি ছিলে, যাদেরকে সেই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে…এটা আমাদের গোটা দেশকেই গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অবিশ্বাস্যরকমের দুঃখজনক সময় ছিল সেটি।”