বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের নিয়মিত ফেইসবুক লাইভে শনিবার অতিথি ছিলেন মুমিনুল, সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। পরে যোগ দেন তাইজুল ইসলাম।
মুমিনুল টেস্ট দলের নেতৃত্ব পাওয়ার কিছু দিন পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, মুমিনুল বড্ড লাজুক। তবে মুমিনুলের দাবি, ধীরে ধীরে নিজেকে ভাঙতে চেষ্টা করছেন তিনি। আগ্রাসী হয়ে উঠছেন অধিনায়ক হিসেবে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর বলেছিলেন, মাঠে এখন সবাইকে ঝাড়ি মারেন তিনি।
সেই কথার সূত্র ধরে মজা করে তামিম ‘ঝাড়ি দেওয়ার’ কথা বলেন।
“তুই যেভাবে নিজের নেতৃত্ব দেখাচ্ছিস, মাঝে মাঝে এক-দুইটা ঝারি আমাদেরও দিয়ে ফেলিস। নেতৃত্ব উপভোগ করছিস, ভালো, উপভোগ কর। কিন্তু ঝাড়ি টারি কম দিস ভাই, বয়সে তো আমি তোর বড় (হাসি)।”
“তুই বলেছিলি, ‘আমি সিনিয়রদেরও ঝাড়ি মারি’, আমি তো ওটা নিয়ে বলছি।”
তখন মনে পড়ে বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুলের, “এটা, কয়েকজন সাংবাদিক শুনতে চাচ্ছিল, সিনিয়রদের ঝাড়ি মারি কী না, আমি (সংবাদ সম্মেলন থেকে) চলে আসছিলাম তখন জিজ্ঞেস করছিল।”
“একমাত্র ঝাড়ি কিন্তু আপনাকেই মারি। এটা নির্ভর করে, যখন কোনো বাজে শট খেলেন, তখন মারি। যখন আপনি অ্যালাও করেন, তখন মারি আর কি।”
তিন সংস্করণে এখন বাংলাদেশের তিন অধিনায়ক। ওয়ানডেতে তামিম, টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ আর টেস্টে মুমিনুল। তামিমের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণে দেশকে নেতৃত্ব দিতে মুমিনুলই সবচেয়ে যোগ্য। এই সংস্করণে এখনও বাংলাদেশ ততটা ভালো দল না হওয়ায় তার কাজটা বেশ কঠিন। তামিম জানতে চান, কীভাবে দলকে উজ্জীবিত করেন মুমিনুল?
“আমি যখন অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পাই, আমার মনে হয়েছিল অধিনায়কত্ব করার এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ, আমার কাছে তখন চার জন খেলোয়াড় ছিল, যারা প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছে। তারপর তিন-চার জন জুনিয়র খেলোয়াড় বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় আছে। পেসার আছে, ভালো ভালো স্পিনার আছে। আমি চিন্তা করলাম, আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ নয়, এটা ভালো সুযোগ হবে। টেস্টে দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা ভালো একটা সুযোগ।”
“সত্যি কথা বলতে, আপনারা যে ৪-৫ জন আছেন, এটা আমার বড় অনুপ্রেরণা। কারণ, এই সিনিয়র খেলোয়াড় অন্তত আরও ৫-৬ বছর খেলবে। তারপর জুনিয়র যারা আছে, তারাও ভালো করতে শুরু করেছে…আমি উপভোগ করার চেষ্টা করি। আর কোনো কিছু না, খালি উপভোগ করার চেষ্টা করব।”