‘দর্শকদের গুরুত্ব দিতে হবে’, বিপিএল নিয়ে রোহিত

সমর্থকদের মধ্যে আবেগ ও রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলতে হবে, তবেই প্রাণবন্ত হবে টুর্নামেন্ট। নিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা থেকে বিপিএল নিয়ে এই পরামর্শ দিলেন রোহিত শর্মা। আইপিএলের সফলতম দলের অধিনায়কের মতে, দর্শকদের গুরুত্ব না দিলে তারাও ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেবে না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2020, 05:52 AM
Updated : 16 May 2020, 09:10 AM

তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেইসবুক লাইভে শুক্রবার রাতে ছিলেন রোহিত। ভারত ও বাংলাদেশের দুই ওপেনারের কথোপকথনে উঠে এসেছে দুই দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাস্তবতা।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলে দলগুলির যেমন ধারাবাহিকতা নেই, তেমনি অনিশ্চিত ক্রিকেটারদের ভাগ্যও। দেশের শীর্ষ ও জনপ্রিয় ক্রিকেটাররাও দল পাল্টাতে বাধ্য হন ঘনঘন। এত বছরেও তাই বিপিএলে সেভাবে গড়ে ওঠেনি সমর্থকগোষ্ঠী। টুর্নামেন্টের বেশির ভাগ ম্যাচেই গ্যালারিতে দর্শক থাকে খুবই কম।

উল্টো চিত্র আইপিএলে। ভারতে অনেক শহরে খেলা হয়, গ্যালারিতে দর্শক হওয়ার এটি যেমন একটি কারণ, তেমনি আরেকটি বড় কারণ, সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে ওঠা। প্রায় সব দলেরই অনেক অনুসারী আছেন, যারা খেলা দেখেন মাঠে গিয়ে।

রোহিতের নেতৃত্বে আইপিএলে চারটি শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দারুণ পেশাদার এই দলের ভক্ত-সমর্থকও অনেক। মুম্বাইয়ে খেলা হলে এই দলের সমর্থনে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে গ্যালারি।

আলাপচারিতার শেষ দিকে রোহিতের কাছে তামিম জানতে চাইলেন, বিপিএলের খেলা দেখার সুযোগ হয়েছে কিনা। রোহিত জানালেন, সরাসরি দেখতে পারেনি।

“আমি ইউটিউবে হাইলাইটস দেখেছি। এখানে একটি চ্যানেলে খেলা দেখাত আগে। আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এখনও দেখায় কিনা। তবে ইউটিউবে দেখেছি বিপিএল ম্যাচের হাইলাইটস।”

বিপিএল প্রসঙ্গেই তামিম জানালেন নিজেদের বাস্তবতা।

“ আইপিএলে একটা খুব ভালো ব্যাপার আছে, মূল ক্রিকেটারদের দলে ধরে রাখা হয়। বিপিএলে এটা আমরা দেখতে পাই না। প্রতি ২-৩ বছরে দল পাল্টাতে বাধ্য হই আমরা…।”

রোহিত তখন বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলেন, জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের একই দলে থাকার ধারাবাহিকতা কতটা প্রয়োজনীয় টুর্নামেন্টের স্বার্থে।

“ একই দলে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এভাবেই তো সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হয়। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল। সত্যি বলতে, এতটা ক্রিকেট পাগল দেশ আমি আর দেখিনি।  মূল ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ধরে রেখে যদি রোমাঞ্চ সৃষ্টি করা যায় যায়, সমর্থকগোষ্ঠী তাহলে আরও বাড়বে। দেশের মতোই আবেগ নিয়ে সমর্থকেরা তখন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সমর্থন দিতে মাঠে যাবে।”

“আইপিএল এই কাজটা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছে। মূল ক্রিকেটারদের একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অনেক বছর রেখে সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলেছে। সমর্থকদের অনেকে প্রিয় ক্রিকেটারের জন্য কোনো দলকে সমর্থন করে। এরপর ওই ক্রিকেটার পরের বছর অন্য দলে চলে গেলে তাদের সমর্থন বদলাতে হয়। এটা ঠিক নয়। একটা কথা মনে রাখা উচিত, সমর্থকেরাই খেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আমরা যদি তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব না দেই, তারাও আমাদের গুরুত্ব দেবে না।”