হানিফের রেকর্ড ভাঙার ‘ইচ্ছা ছিল না’ ইনজামামের

সুযোগ এসেছিল পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসের নতুন রেকর্ড গড়ার। মাত্র ৮ রানের জন্য হানিফ মোহাম্মদের রেকর্ড ভেঙে নিজেকে চূড়ায় নিতে পারেননি ইনজামাম-উল-হক। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বলছেন, পূর্বসূরির রেকর্ড ভাঙার ইচ্ছাই নাকি তার ছিল না।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2020, 04:43 PM
Updated : 11 May 2020, 05:29 PM

১৯৫৮ সালে বারবাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিকেটের প্রথম ‘লিটল মাস্টার’ হানিফ। সেটি কেবল পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসই নয়, সময়ের দিক থেকে টেস্টের দীর্ঘতম ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড হয়ে টিকে আছে এখনও (৯৭০ মিনিট)।

২০০২ সালে লাহোরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চার নম্বরে নেমে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩২৯ রান করেন ইনজামাম। এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান দানিশ কানেরিয়া যখন উইকেটে আসেন, ইনজামামের রান ছিল তখন ৩০২।

বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে হানিফের রেকর্ড ভাঙা থেকে ৮ রান দূরে থাকতে শেষ হয় তার ইনিংস। কিউই লেগ স্পিনার ব্রুক ওয়াকারের ওভারের প্রথম চার বলের মধ্যে মেরেছিলেন তিনটি ছক্কা। পঞ্চম বল আবার উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন সীমানার কাছে।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনিংসটির স্মৃতি রোমন্থন করেন ৫০ বছর বয়সী ইনজামাম।

“আমার মনে আছে, শেষ ব্যাটসম্যানের কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, সে কিছুক্ষণ থাকতে পারবে কি না। তার মুখের অভিব্যক্তি বলছিল, সবকিছু আমার ওপরই নির্ভর করছে। সে মোটেই আত্মবিশ্বাসী ছিল না। আমি তাই বড় শট খেলতে শুরু করি এবং শেষমেশ সীমানায় ধরা পড়ে আউট হয়ে যাই। অন্য প্রান্তে যদি ভালো একজন ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে নিশ্চিত আমি ইনিংস আরও লম্বা করতে পারতাম।”

“সত্যি বলতে হানিফ ভাইয়ের রেকর্ড ভাঙার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। যদি এটি বিশ্ব রেকর্ড হতো, তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতো। তবে কোনো পাকিস্তানি সতীর্থের রেকর্ড ভাঙার ব্যাপারটা আমাকে সত্যিই কখনও টানেনি।”

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনের একটি স্মৃতিও স্মরণ করলেন পাকিস্তানের হয়ে ১২০ টেস্ট, ৩৭৮ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলা সাবেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

“কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, রেকর্ডটা মিস করে আমি কতটা ব্যথিত। আমি তখন বলেছিলাম, ‘আমার কি ৩২৯ রান নিয়ে খুশি থাকা উচিত নয়, নাকি ৮ রান কম করেছি বলে কষ্ট পাব’?”