গত বিপিএলে সিলেট থান্ডারের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন শফিকউল্লাহ। এই দলকে ঘিরে বেশ কিছু সন্দেহজনক খবর বিপিএলের সময় বেরিয়েছিল সংবাদমাধ্যমে।
এসিবির দুর্নীতি বিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল শফিকউল্লাহর বিরুদ্ধে; ঘরোয়া ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টা, ঘরোয়া ম্যাচ পাতানোর জন্য ঘুষ দেওয়া বা নেওয়া, ঘরোয়া ম্যাচ পাতানোর জন্য সতীর্থকে প্ররোচিত করা এবং দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়েও লুকানো।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসিবি জানিয়েছে, বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার পাশাপাশি ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ নিয়েও অভিযোগ ছিল শফিকউল্লাহর বিরুদ্ধে। অভিযোগগুলো মেনে নিয়েছেন তিনি।
এসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার শাহ কুরাইশি কিছুটা খোলাসা করেছেন শফিকউল্লাহর অপরাধের ধরন।
“এটা খুবই গুরুতর অপরাধ, একজন সিনিয়র ক্রিকেটার ২০১৮ এপিএলের একটি হাই-প্রোফাইল ম্যাচে দুর্নীতিতে জড়িত ছিল। এই ক্রিকেটার ২০১৯ বিপিএলেও (২০১৯-২০) একটি হাই-প্রোফাইল ম্যাচে একজন সতীর্থকে দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন।”
কুরাইশি জানিয়েছেন, যদি অভিযোগগুলোয় দায় স্বীকার না করতেন শফিকউল্লাহ, তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরও অনেক বেশি হতো।
৩০ বছর বয়সী শফিকউল্লাহ আফগানিস্তানের হয়ে ২৪টি ওয়ানডে ও ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২০১৭ সালে আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।