একসঙ্গে ৩২ কোটি গালি খেয়েছি: তামিম

তামিম ইকবাল শুধু বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানই নন, ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে আউটফিল্ডে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফিল্ডারদের একজন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্যাচগুলোর বেশ কয়েকটি তার। তবে ক্যাচ ছাড়ার নজিরও আছে কিছু। এর একটি ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেদিন ক্রিস ওকসের ক্যাচ ছাড়ার পর নাকি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যেতে ইচ্ছে করছিল তামিমের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2020, 08:39 PM
Updated : 9 May 2020, 08:46 AM

অ্যাডিলেইডের ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তামিম ক্যাচ ছাড়ার পর হারের শঙ্কা জেঁকে বসেছিল। ১৫ বলে তখন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। ইংলিশদের আশার বাতি জ্বালিয়ে রাখা ওকস তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন লং অনে। কিন্তু হাতে জমাতে পারেননি তামিম।

যার বলে ক্যাচ ছেড়েছিলেন সেই তাসকিন ও রুবেল হোসেনের সঙ্গে ফেইসবুক লাইভে শুক্রবার রাতে এক ঘণ্টার মত আড্ডা দেন তামিম। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন নাসির হোসেন। নাসিরই তুলেছিলেন তামিমের ক্যাচ ছাড়ার প্রসঙ্গটা। তামিম দিয়েছেন জবাব।

“আমি সব সময় নাসিরকে বলতাম, ‘নাসির চিন্তা কর, বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা, ১ বলে ২ রান দরকার, বল আকাশে উঠল, তুই ক্যাচ মিস করলি। তোর কেমন লাগবে?’ এটা নিয়ে ওর সঙ্গে মজা করতাম। আল্লাহ মনে হয় বেশি সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছে, আর আমার সঙ্গেই ঘটে গেছে ঘটনাটা।”

“২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমি ওকসের ক্যাচটা ছেড়েছিলাম তাসকিনের বলে, যে সময় খেলাটা খুব ক্লোজ হয়ে গিয়েছিল। ক্যাচটা ছাড়ার পর আমার কাছে মনে হচ্ছিল, মাটি দুই ভাগ হয়ে যাক, আমি ভেতরে ঢুকে যাই, আমাকে কেউ আর দেখার দরকার নাই। আমি ওই মুহূর্তে একসঙ্গে ৩২ কোটি গালি খেয়েছি। ৩২ কোটি কারণ, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ, একটা করে গালি তো দেয়নি, দুইটা করে দিয়েছে সবাই।”

পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন রুবেল। তাতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তামিম।

“তারপর রুবেল দুই উইকেট নিয়ে নিল। ওই খেলার হাইলাইটস দেখলে দেখবি সবাই রুবেলের পেছনে দৌড়ায়, সবাই তো রুবেলের পেছনে দৌড়েছে যে ম্যাচ জিতে গেছি বলে, আর আমি রুবেলের পেছনে দৌড়েছি যে, আমি বেঁচে গেছি (হাসি)! যদি ওই ম্যাচ হারতাম, তাহলে আমার আর বাংলাদেশে আসা লাগত না।”

গত বিশ্বকাপেও ক্যাচ ছুটে গেছে তামিমের হাত থেকে। ৯ রানে তার হাতে জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি করেন ভারতের রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপেই কেন এমন হয়, জানা নেই তামিমের।

“আল্লাহই জানে, কেন বিশ্বকাপ আসলেই আমার কাছ থেকে ক্যাচ ছুটে যায়, এই (২০১৯) বিশ্বকাপেও ক্যাচ ছুটে গেছে। আশা করি, ২০২৩ বিশ্বকাপ যদি খেলতে পারি, তাহলে একবারে সব পুষিয়ে দিব।”