মুশফিকের ব্যাটের সঙ্গে নিলামে উঠছে গত বছর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দেওয়া মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট। ফাইনালে ওই ব্যাটে মোসাদ্দেকের ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
এছাড়াও নিলামে উঠছে আকবার আলির ব্যাট ও গ্লাভস, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক যেগুলো ব্যবহার করেছিলেন ফাইনালে। নিলামে থাকছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট, গত বছর ভারত সফরে টি-টোয়েন্টিতে তরুণ ওপেনার যে ব্যাট দিয়ে খেলেছিলেন ৮১ রানের ইনিংস।
করোনাভাইরাস দুর্গতদের সহায়তায় জন্যই এই আয়োজন। পুরো আয়োজনটির নাম রাখা হয়েছে ‘স্পোর্টস ফর লাইফ।’ উদ্যোগটি যৌথভাবে পরিচালনা করছে নিবকো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘পিকাবো’ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।
শনিবার রাত ১০টায় স্পোর্টস ফর লাইফের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় (https://www.facebook.com/SportsForLifeOfficial/ ) অনলাইন কনফারেন্সে নিলামের উদ্বোধন করবেন মুশফিক ও আকবর। চার দিন ধরে নিলাম চলবে পিকাবোর সাইটে (http://www.pickaboo.com/sportsforlife.html) ।
নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ দিয়ে ব্র্যাকের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে দুঃস্থদের। বাকি অংশ দিয়ে নিলামে তোলা ক্রিকেটাররা সহায়তা করবেন নিজ উদ্যোগে।
ক্রিকেটারদের স্মারকের পাশাপাশি নিলামে থাকছে ক্রিকেট স্মারক সংগ্রাহক জসিম উদ্দিনের সংগ্রহ থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজার অটোগ্রাফ দেওয়া ক্যাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াডের সব ক্রিকেটারের অটোগ্রাফ দেওয়া ব্যাট।
নিলামের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মুশফিকের ব্যাটটিই। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে এই ব্যাট দিয়েই তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে উপহার দিয়েছিলেন প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি। ওই ব্যাটে খেলেছেন আরও বেশ কিছু দারুণ ইনিংস। সামর্থ্যবানদের মুশফিক আহবান করেছেন ব্যাটটি কিনতে এগিয়ে আসতে।
“ব্যাটটি আমার কাছে স্পেশাল। এরকম একটা ইতিহাসের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে আছে ওই ব্যাট দিয়েই, অনেকের চাইলেও এমন কিছুর সৌভাগ্য হয় না। প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তো আর কেউ হতে পারবে না। আমার খুবই ভালোলাগার একটি ব্যাট এটি। কিন্তু মানুষের জীবনের চেয়ে বড় কিছু নেই। তাই এটিই নিলামে তুলতে যাচ্ছি।”
“আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার ব্যাট ভেবে না হোক, অনেক বড় কোনো ক্রিকেটারের ব্যাট ভেবে বা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভেবে সবাই এগিয়ে আসবেন। কারণ, যত বেশি মূল্য পাওয়া যাবে নিলামে, ততই বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে।”