টেস্ট অধিনায়ক হতে চান মহারাজ

ফাফ দু প্লেসি দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে শূন্য হয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়কের পদ। এই সংস্করণে কে হবেন প্রোটিয়াদের নতুন অধিনায়ক? এগিয়ে এসেছেন কেশব মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনার পেতে চান নেতৃত্ব।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2020, 03:13 PM
Updated : 7 May 2020, 03:13 PM

গত ফেব্রুয়ারিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়েন দু প্লেসি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক করা হয় কুইন্টন ডি কককে। এই কিপার ব্যাটসম্যানকে টেস্টের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না, এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) ক্রিকেট পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ।

অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ডিন এলগার, টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মারক্রামের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে এলগারের টেস্টে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে দুই টেস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন এই ওপেনার।

৩০ বছর বয়সী মহারাজ কেবল টেস্টের নেতৃত্ব নয়, তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

“আমি সত্যিই প্রোটিয়াদের অধিনায়ক হতে চাই। আমার স্বপ্ন এটি। অনেকেই এটি জানে না। তবে আমার ঘনিষ্ঠজনরা জানে, আমি তিন সংস্করণেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কত্ব করতে চাই। দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে চাই।”

“প্রোটিয়াদের হয়ে খেলা ছাড়াও বিশ্বকাপ জয়ে দলটির অধিনায়কত্ব করা আমার ছোটবেলার স্বপ্ন। ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর মাধ্যমেই পূর্ণতা পাবে আমার জীবন।”

ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে মহারাজের। গত মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া পঞ্চাশ ওভারের প্রতিযোগিতা মোমেন্টাম ওয়ানডে কাপে ডলফিন্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। করোনাভাইরাসের প্রভাবে মাঝপথে টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় তার দলকে।

১০ ম্যাচে সাত জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল ডলফিন্স। সাত ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে তাদের সর্বোচ্চ ও টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন মহারাজ। এই পারফরম্যান্সে ১৮ মাস পর তিনি ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দলে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে।

এই সিরিজের আগে মহারাজ ওয়ানডে খেলেছিলেন মাত্র চারটি, ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি এবং পরের বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি। ওয়ানডে দলে বিবেচনার ক্ষেত্রে ইমরান তাহির ও তাবরাইজ শামসির চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন তিনি।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর তাহির অবসরে যাওয়ায় ও দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশে একাধিক স্পিনার খেলানোয় দরজা খুলেছে মহারাজের। ওয়ানডে দলে নিয়মিত হতে তাকে কী করতে হবে, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে, “আমাকে বলা হয়েছে, বোলিং ছাড়াও ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে হবে আমাকে।”

টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ মহারাজের এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়নি। এই সংস্করণে খেলার পথ জানা আছে তার।

“আমি টি-টোয়েন্টির বাধা ভাঙতে চাই। তবে আমি জানি, এর জন্য আমাকে ওয়ানডে ক্রিকেটের সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে এবং টেস্টে কিছু বড় ইনিংস খেলতে হবে।”