ওয়ার্নারের দৃষ্টিতে স্মিথ-কোহলি

ক্রিকেটের প্রায় শুরু থেকেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তুলনা চলে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় আলোচনার কেন্দ্রে বিরাট কোহলি ও স্টিভেন স্মিথের দ্বৈরথ। টেস্ট ব্যাটসম্যানের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থান নিয়ে তাদের চলে জমজমাট লড়াই। এই দুই ব্যাটসম্যানের লড়াইয়ে কাউকে এগিয়ে রাখছেন না ডেভিড ওয়ার্নার।   

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2020, 03:50 PM
Updated : 6 May 2020, 03:50 PM

কোহলিকে পেছনে ফেলে আপাতত র‌্যাঙ্কিংয়ে স্মিথ রয়েছেন চূড়ায়। ২০১৮ সালের পর থেকে গত বছরের প্রায় শেষ অবধি শীর্ষে ছিলেন কোহলি।
 
২০১৫ সালের জুনে প্রথমবার এক নম্বরের স্বাদ পান স্মিথ। সেই থেকে কোহলি ও স্মিথ ছাড়া শীর্ষে উঠতে পেরেছিলেন আর কেবল একজন ব্যাটসম্যান। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ৮ দিনের জন্য এক নম্বর ছিলেন কেন উইলিয়ামসন।
 
ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলের সঙ্গে ক্রিকবাজে এক আলাপচারিতায় দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান ওয়ার্নার।
 
“ক্রিকেটের বেলায় তারা দুজনই মানসিকভাবে শক্তিশালী।… দুই জনই ক্রিজে সময় কাটাতে ভালোবাসে। তবে রানের জন্য বিরাটের আবেগ ও উদ্যম স্মিথের চেয়ে আলাদা। স্টিভ ক্রিজে যায় শট খেলতে, সে ব্যাপারটা এভাবে দেখে। সে বল মারছে, মজা করছে, নিজেকে উপভোগ করছে। সে আউট হতে চায় না।”
 
“অবশ্যই বিরাটও আউট হতে চায় না। সে জানে, যদি ক্রিজে কিছু সময় পার করা যায় তবে দ্রুত প্রচুর রান করতে পারবে। এভাবে সে আপনার ওপর চেপে বসবে।”
 
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের দৃষ্টিতে দুজনেই দলের ব্যাটিংয়ে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাছ থেকে মানসিক শক্তি পান অন্যরা।
 
“তারা ক্রিজে থিতু হয়, মনোবল বাড়ায়। যদি তারা রান করতে পারে, অন্যদের মনোবলও বেড়ে যায়। যদি তারা দ্রুত আউট হয় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন মাঠের সবাই…( চিন্তিত হয়ে পড়ে ও মনোবল কমে যায়)। তখন তারা ভাবে এবার আমাদের সবাইকে ভালো করতে হবে। এটা খুব উদ্ভট একটা পরিস্থিতি।”
 
করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা। বল টেম্পারিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ থাকায় অস্ট্রেলিয়ায় দুই দেশের সবশেষ সিরিজে ছিলেন না স্মিথ ও ওয়ার্নার। সেবারই প্রথমবারের মতো দেশটিতে থেকে টেস্ট সিরিজে জিতে ফিরে ভারত।