‘সম্ভাবনাময় ছিল সাব্বির, সম্ভাবনা আছে সাইফ-আফিফের’

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলা, ফিনিশারের ভূমিকা পালন করা, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব মাহমুদউল্লাহর। তার বিকল্প এখনও চোখে পড়ে না সেভাবে। কিন্তু কার সম্ভাবনা আছে ভালো ফিনিশার হয়ে ওঠার? মাহমুদউল্লাহ শোনালেন একজনকে নিয়ে আক্ষেপ আর তিনজনের সম্ভাবনার কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2020, 06:27 AM
Updated : 4 May 2020, 06:27 AM

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে রানের তালিকায় মাহমুদউল্লাহর ওপরে আছেন তামিম ও সাকিব আল হাসান। তবে কঠিন ভূমিকা দারুণভাবে পালন করার জন্য তামিম নিজে বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান মানেন মাহমুদউল্লাহকে।

ইনস্টাগ্রাম লাইভে রোববার রাতে আলাপচারিতায় তামিম অকপটেই মাহমুদউল্লাহকে দেন এই স্বীকৃতি। এই প্রসঙ্গেই তামিম জিজ্ঞেস করেন, বাংলাদেশে এই পজিশনে খেলার মতো ব্যাটসম্যান কেন সেভাবে গড়ে উঠছে না এবং মাহমুদউল্লাহ কীভাবে এখানে এত ভালো হয়ে উঠলেন।

মাহমুদউল্লাহ বললেন অন্যদের নিয়ে আশা-হতাশার কথা। শোনালেন নিজের আরও উন্নতির তাগিদও।

“একটা কথা বলে নেই, কোনো সংশয় ছাড়া তুই (তামিম) বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। প্রায় সব রেকর্ডই তোর। আরও হবে আশা করি। আমি চেষ্টা করি লোয়ার মিডল অর্ডারে বা মিডল অর্ডারে পজিশন অনুযায়ী খেলতে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। তবে আরও কাজ করতে হবে। অনেক সময় ডেলিভার করতে পারি না। আরও উন্নতি করতে হবে।”

“সাব্বিরের খুব ভালো সম্ভাবনা ছিল ৬-৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। এখন সাইফ উদ্দিন আছে। সাইফ বড় শট খেলতে পারে। আফিফও খুব ভালো বিকল্প। পাশাপাশি মোসাদ্দেকও আছে। আমার কাছে মনে হয়, তিন-চার জন আছে, যাদের ভালো ফিনিশিং দেওয়ার সামর্থ্য আছে।”

বাংলাদেশে সেভাবে পেশিশক্তির কোনো ব্যাটসম্যান নেই। বড় শট খেলতে নির্ভর করতে হয় টাইমিং ও স্কিল হিটিংয়ের ওপর। মাহমুদউল্লাহ জানালেন নিজের উন্নতির গল্প।

“বছর চারেক আগে আমাদের একটা অনুশীলন ক্যাম্প হয়েছিল খুলনায়, চন্দিকা হাথুরুসিংহে কোচ থাকার সময়। ওই সময় হাথুরুসিংহের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু কাজ করেছিলাম মানসিকভাবে ও স্কিল হিটিং নিয়ে। সেটা আমার খুব কাজে লেগেছে। আগে আমি উইকেটে গিয়ে সময় নিতাম কিছুটা হলেও। এখন আত্মবিশ্বাসী যে শুরু থেকেই গিয়ে কাজটা করতে পারি।”

“এই পজিশনে খেলতে হলে এটা খুবই জরুরি। নিঃস্বার্থভাবে খেলতে হবে। অনেক সময় দলের প্রয়োজনে নিজের উইকেট দিয়ে আসতে হবে। ওই স্বাধীনতা নিয়ে খেলার মানসিকতা থাকতে হবে।”