ইনস্টাগ্রাম লাইভে শনিবার রাতে আড্ডা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। শুরুর দিকেই তামিম বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সঙ্কটের এই দমবন্ধ করা সময়ে কৌতুক-মজায় একটু স্বস্তির সময় কাটাতে তাদের এই আয়োজন।
আড্ডার শেষ দিকে তামিম তুলে আনলেন ওভালের ড্রেসিং রুমের সেই ঘটনার স্মৃতি।
“আপনারা জানেন যে মুশফিকের সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব। আপনাদেরও প্রিয় বন্ধু যারাই আছে, কোনো না কোনো সময় তো ঝগড়া হয়। আমার ও মুশফিকেরও ঝগড়া হয়, কথা কাটাকাটি হয়। মন খারাপ হয়। আবার দ্রুতই আমরা আগের মতোই হয়ে যাই।”
“ওভালের ড্রেসিং রুমের একটা কাহিনী বলি। ড্রেসিং রুমটা খুব ছোট। মুশফিকের একটা অভ্যাস আছে, সে একটা সিটে বসতে পারে না, তিন-চারটা সিট লাগে…।”
তামিম এটুকু বলতেই হাসিমুখে প্রতিবাদ জানান মুশফিক, “তিন-চারটা সিট…এটা কিন্তু বেশি হয়ে গেল! আমার যত বেশি জিনিস, বেশি জায়গা তো লাগবেই… আমি তো কাউকে ডিস্টার্ব করি না।”
তামিম সেই প্রতিবাদকে পাত্তা না দিয়ে বলতে থাকেন নিজের কথা।
“বাংলাদেশ দলের কেউ যদি এই লাইভ দেখতে থাকেন, সে কমেন্টে বলতে পারবে যে মুশফিকের তিন-চারটা সিট লাগে কিনা! যাইহোক, ওভালে আমি দেখলাম, মুশি তিন-চারটা সিট নিয়ে বসে আছে। আমি গিয়ে বললাম, ‘কি ব্যাপার, তুই তিন-চারটা সিট নিয়ে বসে আছিস!’ মুশফিক বলল, ‘আমি জানতাম, তুই-ই বলবি আমাকে, আর কেউ বলবে না।” এটা নিয়ে আমাদের কথা কাটাকাটি চলল বেশ।”
“মুশফিক এরপর রাগ করে ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে বাথরুমে গিয়ে বসল। আমি আমার সিটে গিয়ে বসলাম। যে জায়গায় মুশফিক বসেছিল, সেখানে ভয়ে আর কেউ বসেইনি। খালিই ছিল!”
ঘটনার শেষ নয় সেখানেই, তামিম জানালেন, আরও মজার ঘটনা ঘটল পরের ম্যাচে।
“কথা কাটাকাটির পর ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমি সেঞ্চুরি করলাম, মুশফিক ৭৯ করল। পরের ম্যাচ খেলতে যখন ওভালে গেলাম আবার, মুশফিক আগেই বাথরুমে গিয়ে বসল। আমার প্রশ্ন হলো, তুই এটি কেন করলি? এটা কি কুসংস্কার থেকে যে বাথরুমে বসে থেকে ৭০-৮০ করেছিলি?”
হাসিতে ফেটে পড়ে মুশফিক জানালেন উত্তর।
“সত্যি বলতে, খেলার ক্ষেত্রে এটা কুসংস্কার নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই আছে, তোর আছে, অনেকেরই আছে, হয়তো কোনো গ্লাভস বা ব্যাট, যেটি নিয়ে আমার কাছে মনে হয় একটা ভালো অনুভূতি হয় বা আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে। আমি শুধু ওভালেই নয়, যেখানেই ড্রেসিং রুমের কোনো জায়গায় বসে যদি ভালো করি, ওখানেই বসার চেষ্টা করি যেন আবার ভালো করার সুযোগ থাকে।”