রাত ২টায় বাসে চেপে অনুশীলনে যেতেন পান্ত

জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে প্রায় সব ক্রিকেটারকেই পার হতে হয় প্রতিবন্ধকতায় ভরা পথ। অনেক ঘাম ছুটিয়ে ছুটতে হয় স্বপ্নের পানে। অনেকেরই থাকে লড়াই-সংগ্রামের অনেক গল্প। রিশাভ পান্ত যেমন শোনালেন তার জীবনের একটি গল্প। একসময় রাত ২টায় বাসে চেপে ৬ ঘণ্টার ভ্রমণে অনুশীলনে যেতেন ভারতীয় কিপার-ব্যাটসম্যান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2020, 07:22 AM
Updated : 2 May 2020, 07:22 AM

উত্তরখন্ডের হরিদ্বার জেলার ছোট্ট শহর রুর্কিতে জন্ম পান্তের। সেখান থেকে একসময় অনুশীলনে যেতে হতো দিল্লিতে। আইপিএল দল দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনস্টাগ্রাম লাইভে পান্ত শোনালেন তার সেই দিনগুলোর কথা।

“উত্তরখন্ডের সেসময় ক্রিকেট দল ছিল না। আমি তাই রাত ২টার বাস ধরতাম। ৬ ঘণ্টা লাগত দিল্লি যেতে। শীতকালে এভাবে যেতে খুব কষ্ট হতো, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ে ওখানে। কুয়াশা তো ছিলই। পেছন ফিরে তাকালে, এখন অবশ্য খারাপ লাগে না। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে।”

বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে পান্তের আদর্শ ছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। এই অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির মতো পান্তও আগ্রাসী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও কিপার। তবে ক্রমে তিনি বুঝেছেন, প্রিয় তারকাকে সবসময় অনুসরণ করা যাবে না।

“ সময়ের সঙ্গে একটা পর্যায়ে বুঝতে পেরেছি, নিজের আদর্শ ক্রিকেটারকে দেখে আমি শিখতে পারি। কিন্তু তাকে অনুকরণ করা যাবে না। তার ভালো দিকগুলো নিতে হবে, রপ্ত করার চেষ্টা করতে হবে এবং নিজের জীবনে ও ক্রিকেটে প্রয়োগ করতে হবে। একটা নিজস্বতা আমার গড়ে তুলতে হবে।”

খেলার ধরনের কারণে পান্তকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই বেশি কার্যকর মনে করা হয়। তবে টি-টোয়েন্টি জমানার ক্রিকেটার হয়েও ২২ বছর বয়সী এই তারকার পছন্দ টেস্ট ক্রিকেট।

“ আমি টেস্ট খেলতে ভালোবাসি। একটু সময় নেওয়ার সুযোগ থাকে এখানে। নিজের বড় পরীক্ষাও হয় এখানেই। যখন চারদিনের ম্যাচ খেলতাম, তখনই শুনতাম যে এটিই সত্যিকারের পরীক্ষা। পাঁচদিন খেলা শুরু করার পর বুঝলাম… আরও বাড়তি কিছু প্রয়োজন এখানে।”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার রেকর্ডও অবশ্য তুলনামূলকভাবে ভালো এখন টেস্টেই। জাতীয় দলের হয়ে দুই সেঞ্চুরির দুটিই করেছেন টেস্টে।

তবে উইকেটে গিয়ে অনেক সময়ই ছটফট করতে যায় তাকে। অনেক সময়ই উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। খেসারতও দিতে হয়েছে দলে জায়গা হারিয়ে। পান্ত জানালেন, সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের এখনকার প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলির কথায় চেষ্টা করছেন নিজের সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে।

“তিনি আমাকে বলেছেন, উইকেটে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে। তার পর যা খুশি করতে পারি। তিনি সবসময়ই চেয়েছেন আমি যেন ভালো করি। কিছু কথা তিনি বলেছেন যা আমি করার চেষ্টা করেছি ও সুফলও পেয়েছি।”