আর এজন্য সারওয়ানকে ‘করোনাভাইরাসের চেয়ে খারাপ’ ও ‘সাপের মত বিষাক্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন গেইল। কড়া সমালোচনা করতে গিয়ে সারওয়ানের পুরনো কৃতকর্মও তুলে ধরেছেন গেইল।
সিপিএলের প্রথম চার আসরে জ্যামাইকার হয়ে খেলে দুইবার শিরোপা জেতেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান গেইল। এরপর দুই আসরে খেলেন সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের জার্সিতে।
গত মৌসুমে আবার জ্যামাইকায় ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিন বছরের চুক্তি করার কথা ছিল তার সঙ্গে, কিন্তু এক বছরের মাথায় সম্প্রতি তাকে ছেড়ে দেয় জ্যামাইকা। ফলে তাকে দলে ভিড়িয়েছে সেন্ট লুসিয়া জুকস।
তাকে ছেড়ে দিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কান ভারী করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার সারওয়ান, অভিযোগ গেইলের। ইউটিউবের ধারাবাহিক ভিডিওতে জ্যামাইকার তাকে ছেড়ে দেওয়ার পেছনে সব দোষ সারওয়ানকে দেন গেইল।
“সারওয়ান, এই মুহূর্তে তুমি করোনাভাইরাসের চেয়েও খারাপ। তালাওয়াহসের সঙ্গে যা ঘটেছে, আমি জানি তোমার এখানে বড় একটি ভূমিকা আছে। কারণ তুমি ও তালাওয়াহসের মালিক একই প্রকৃতির।”
“সারওয়ান, তুমি একটি সাপ। তুমি খুবই প্রতিহিংসাপরায়ণ, এখনও অপরিণত, পেছন থেকে ছুরি মারো। কবে তুমি বদলাবে, সারওয়ান? কবে বদলানোর পরিকল্পনা?”
অনূর্ধ্ব-১৯ থেকেই সারওয়ান এমন হিংসা-পরায়ণ ছিল বলে জানান গেইল। ১৯৯৬ সালের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন ক্রিকেট বিশ্বের এই তারকা।
“আমরা রুমমেট ছিলাম, একই রুম শেয়ার করেছি।”
“তোমার কারণে ম্যানেজমেন্ট আমাকে বার্বাডোস থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমি এটা কখনও ভুলব না। আমি ক্ষমা করে দিয়েছি, কিন্তু কখনও ভুলব না।”
“তুমি ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলে যে আমার জন্য ঘুমাতে পার না, কারণ ক্রিস গেইল অনেক রাত পর্যন্ত টিভি দেখে। এই কারণে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সবার সামনে তুমি এমন অভিনয় কর যে তুমি সাধু, ভালো মানুষ। সারওয়ান, তুমি খারাপ, বিষাক্ত।”