আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার টেন্ডুলকার। ঢাকায় ২০১২ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ছুঁয়েছিলেন শততম সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ঠিক ১০০ সেঞ্চুরিতেই। ৭১ সেঞ্চুরি নিয়ে অনেকটা পেছনে থেকে দুইয়ে রিকি পন্টিং।
তবে কোহলি এগিয়ে চলেছেন দারুণ গতিতে। ৭০ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। বয়স এখন তার ৩১। তার যে ফর্ম, ফিটনেস ও ক্রিকেট দর্শন, তাতে টেন্ডুলকারের রেকর্ড বলা যায় ধরাছোঁয়ার মধ্যেই।
লক্ষ্ননের তো কোনো সংশয়ই নেই, রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতায় টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলবেন কোহলি।
লির মতে, টেন্ডুলকারের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ হবে তিনটি ব্যাপার। সবকটিই খুব ভালোভাবে আছে কোহলির মধ্যে।
“ আমরা অবিশ্বাস্য সব সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করছি এখানে। (১০০ সেঞ্চুরি ছাড়াতে) আরও হয়তো ৭-৮ বছর খেলতে হবে তাকে। সে কি প্রস্তুত? আমার মনে হয়, ‘হ্যাঁ।’ এখানে তিনটি ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সামর্থ্য। সেই সামর্থ্য যে কোহলির আছে, এটি নিয়ে প্রশ্নই নেই। দ্বিতীয়ত, ফিটনেস। তিরিশ পেরিয়ে যাওয়ার পর ফিটনেস একটি বড় ব্যাপার। বিরাট কোহলির ফিটনেস নিয়েও সংশয় নেই।”
“আরেকটি ব্যাপার হলো, মানসিক সামর্থ্য। বয়স বাড়তে থাকবে, কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করার মানসিক সামর্থ্য কতটা থাকবে। ঘর থেকে দূরে থাকা, স্ত্রী ও পরিবারকে রেখে, সন্তান হবে হয়তো, সব মিলিয়ে মানসিক লড়াই। তবে এটিও তার পারার কথা। তিনটি ব্যাপারই তাই বিরাটের মধ্যে ভালোভাবে আছে।”
তবে বাস্তবতার কথা বলেই আবার যেন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ঘোরে চলে যাচ্ছেন লি। টেন্ডুলকারকে কেউ ছাড়াতে পারেন, অকল্পনীয় লাগছে তার।
“তবে কীভাবে কেউ বলতে পারে, কোনো একজন শচিন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যাবেন! শচিন তো ইশ্বর, কেউ কি ইশ্বরের চেয়ে ভালো হতে পারেন? আমরা কেবল অপেক্ষা করেই দেখতে পারি।”