‘পিটারসেনের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল দলের অনেকে’

রাতারাতি ফুলেফেঁপে উঠল একজনের ব্যাংক ব্যালান্স, তাতে পাল্টে গেল ড্রেসিং রুমের আবহ। ইংল্যান্ড দলের সেই সময়টার কথা বলছেন মাইকেল ভন। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের দাবি, মোটা অঙ্কের চুক্তিতে আইপিএলে দল পাওয়ার পর কেভিন পিটারসেনের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের অনেকে। এতদিন পর সেই প্রসঙ্গ উঠে আসায় অবশ্য বেশ বিরক্ত পিটারসেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 03:33 PM
Updated : 23 April 2020, 03:33 PM

২০০৯ আইপিএলে দামী ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন পিটারসেন। ৯ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভন জানালেন, পিটারসেনের বিশাল অঙ্কের চুক্তি ইংল্যান্ড দলের অনেকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।

“আমার মনে হয়, তারা অনেক ঈর্ষান্বিত ছিল। সেই ক্রিকেটাররা এখন তা পুরোপুরি অস্বীকার করবে। তবে ব্যাপারটা এরকমই ছিল, যখন কেভিন বড় অঙ্কের একটা চুক্তিতে ছিল।”

ক্রিকেটারদের আইপিএলে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে তখন অনীহা ছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। কিন্তু পিটারসেন চাইতেন আইপিএলে খেলতে। পিটারসেনের সঙ্গে তত্কালীন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সম্পর্কের টানপোড়েন নিয়ে সেসময় আলোচনা হয়েছে অনেক। ভনের দাবি, সবকিছুর শুরু আইপিএলে খেলতে চাওয়া নিয়েই।

“কেভিনের আইপিএল খেলতে যেতে চাওয়া ছাড়া আর কোনো ব্যাপার সেখানে ছিল না। ওই সময় থেকেই এসবের শুরু এবং দলে বিরোধও ফুটে ওঠে।”

পিটারসেনের যদিও আইপিএল খেলতে চাওয়ার যুক্তি ছিল। তার বিশ্বাস ছিল, আইপিএলে বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে ইংলিশ ক্রিকেটারদের উন্নতি হবে। তবে তার সতীর্থদের ভাবনা ছিল ভিন্ন, জানালেন ইংল্যান্ডের ২০০৫ অ্যাশেজ জয়ী অধিনায়ক ভন। 

“সে (পিটারসেন) দলকে বলতো, সে খেলতে চায় কারণ ওয়ানডে দলের উন্নতিতে কাজে লাগবে এবং নিজেদের খেলায় উন্নতির জন্য ওয়ানডে দলের সব খেলোয়াড়দের এই সুযোগ পাওয়া উচিত।”

“ কিন্তু তারা (দলের অনেকে) মনে করত, কেভিন শুধু অর্থের জন্যই সেখানে খেলতে যেতে চায়। সে এত টাকা পাচ্ছে, কিন্তু অন্য অনেকেই সামান্য কিছুও পাচ্ছিল না। ওই ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এমন দাঁড়িয়েছিল যেন, কেভিন বনাম গোটা দল!”

ভনের এই খবর দেখে বৃহস্পতিবার টুইটারে জবাব দেন পিটারসেন। তাতে লুকাননি নিজের বিস্ময় ও বিরক্তি। করোনাভাইরাসের এই সময়ে সবাইকে ইতিবাচক থাকার অনুরোধও জানান সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

“বিস্ময়কর! এই গল্পগুলো এখনও শিরোনাম হচ্ছে! আমি কী বিনয়ের সাথে অনুরোধ করতে পারি, এসব নিয়ে আর কথা না বলতে! আমরা সবাই অনেকটা পথ পেরিয়েছি এবং কথা বলার মতো আরও অনেক দারুণ কিছুই আমার ক্যারিয়ারে আছে!”

“ এখন আমরা বিচ্ছিন্ন এক পৃথিবীতে বাস করছি, প্রয়োজন এখন ইতিবাচকতা!”