নানা রঙের ক্রিকেট

ক্রিকেটকে বলা হয় রেকর্ডের খেলা। পরিসংখ্যানের সঙ্গে ক্রিকেটের মতো সম্পৃক্ততা সম্ভবত অন্য কোনো খেলার নেই। মাঠে পারফরম্যান্সে রাঙিয়ে তোলেন ক্রিকেটাররা আর রেকর্ড বইয়ে হয়ে যায় নানা আঁকিবুকি। সংখ্যার কোনো কোনো ছবি আবার চমকে দেয় প্রবলভাবে!

আবু হোসেন পরাগবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2020, 10:53 AM
Updated : 22 April 2020, 10:53 AM

করোনাভাইরাসের ছোবলে অন্য সব খেলার মত থমকে আছে ক্রিকেটও। পরিসংখ্যানের সঙ্গেও আপাতত চলছে বিচ্ছেদ। এই সময়টায় ফিরে তাকানো যেতে পারে কৌতূহল জাগানিয়া কিছু সংখ্যা আর ঘটনায়, যা অবাক দিতে পারে অনেককেই!

* সুনিল গাভাস্কার এমন এক কীর্তি গড়েছেন, যেটি আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রান! তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এক বিশ্ব রেকর্ডের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ভারতীয় কিংবদন্তির নাম। টেস্টের প্রথম বলে সবচেয়ে বেশিবার আউট হওয়া ব্যাটসম্যানও তিনি। তিনবার!

গাভাস্কার যদিও এখানে একা নন। তিনবার ম্যাচের প্রথম বলে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের হান্নান সরকারও। গাভাস্কারের জন্য প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ ও বোলার ছিল ভিন্ন। হান্নানের ক্ষেত্রে তিনবারই বোলার একজন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেদ্রো কলিন্স।

* টেস্ট ম্যাচের প্রথম বল ছক্কায় ওড়ানো একমাত্র ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম বলেই ওই শট খেলেছিলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার, অভিষিক্ত অফ স্পিনার সোহাগ গাজীকে টেস্টের জগতে স্বাগত জানিয়েছিলেন লং অন দিয়ে উড়িয়ে।

ওই ওভারে আরেকটি ছক্কাসহ রান এসেছিল ১৮। তবে সোহাগ শোধ তুলেছিলেন একটু পরই গেইলকে ফিরিয়ে।

* সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান বলে বিবেচিত ডন ব্র্যাডম্যান টেস্ট ক্যারিয়ারে হিট উইকেট আউট হয়েছিলেন একবারই, ১৯৪৭ সালে ব্রিজবেনে। সেই বোলার ছিলেন না ভয়ঙ্কর গতিময় কেউ, লালা অমরনাথ! যার মূল কাজ ছিল ব্যাটিং, ভারতের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান তিনিই। পাশাপাশি করতেন জেন্টল মিডিয়াম পেস।

* সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা দাপুটে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন ব্র্যাডম্যান, একদিনে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার অসাধারণ কীর্তিও আছে তার। অথচ ৫২ টেস্টের ক্যারিয়ারে তিনি ছক্কা মেরেছেন কেবল ৬টি!

* নিজের জন্মদিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করা একমাত্র বোলার পিটার সিডল। ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিজবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান পেসার টানা তিন বলে ফিরিয়েছিলেন অ্যালেস্টার কুক, ম্যাট প্রায়র ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে।

* ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে টানা ২১ ওভার মেডেন নিয়েছিলেন ভারতের বাপু নাদকার্নি। এখনও যেটি বিশ্ব রেকর্ড। ওই ইনিংসে বাঁহাতি এই স্পিনারের ৩২ ওভারের ২৭টিই ছিল মেডেন। উইকেট না পেলেও খরচ করেছিলেন মাত্র ৫ রান।

টেস্টে অন্তত ৫০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে নাদকার্নির চেয়ে ভালো ইকোনোমি রেট আছে কেবল সাবেক প্রোটিয়া পেসার ট্রেভর গডার্ডের। দুজনই খেলেছেন ৪১টি করে টেস্ট, গডার্ড ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১.৬৪, নাদকার্নি ১.৬৭।  

* সাবেক ইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক স্টুয়ার্ট জন্মেছিলেন ১৯৬৩ সালের ৮ এপ্রিল। সংক্ষেপে লিখলে, ৮-৪-৬৩। টেস্টে স্টুয়ার্টের মোট রান দেখুন, ৮৪৬৩!

*  ওয়াসিম আকরামের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস শচিন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ইনিংসের চেয়েও বড়! টেন্ডুলকারের সেরা ছিল অপরাজিত ২৪৮, বাংলাদেশের বিপক্ষে। আকরাম ১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন তার সেরা ২৫৭।

আকরামের ইনিংসটি রেকর্ড বইয়ে জায়গা নিয়ে আছে অবশ্য অন্য কারণে। টেস্টে ৮ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড সেটি। ওই ইনিংসের পথে তিনি ছক্কা মেরেছিলেন ১২টি, এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার সেই রেকর্ডও টিকে আছে এখনও।  

* টেস্টে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার জেসন গিলেস্পি। অস্ট্রেলিয়ান পেসার ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে করেছিলেন অপরাজিত ২০১।

ওই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন তিনি নিজের ৩১তম জন্মদিনে। আর সেটিই হয়ে আছে তার শেষ টেস্ট।

* ৬০, ৫০ ও ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র দল ভারত। ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ৬০ ওভারের বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, আর ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা জিতেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। 

* এই উপমহাদেশের বাইরে মহেন্দ্র সিং ধোনির কোনো সেঞ্চুরি নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ১৬ সেঞ্চুরির ১৩টিই ভারতে, দুটি পাকিস্তানে, ১টি বাংলাদেশে।

* ওয়ানডেতে টানা চার ম্যাচে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হওয়া একমাত্র ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। সবগুলোই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে, ১৯৯৭ সালে টরন্টোতে। 

* ইতিহাসের প্রথম টেস্ট (১৮৭৭) ও শতবার্ষিকী টেস্ট (১৯৭৭), দুটিতেই ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দুটি ম্যাচই ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

* রবিন সিং নামে দুজন ক্রিকেটার টেস্ট খেলেছেন ভারতের হয়ে। দুজনেরই অভিষেক টেস্টে হয়ে থেকেছে তাদের শেষ টেস্টও। একজন ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে, আরেকজন ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে।

* গ্লেন ম্যাকগ্রা তিন সংস্করণেই তার ক্যারিয়ার শেষ করেছেন দারুণ স্মৃতি নিয়ে। প্রথম বোলার হিসেবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ বলে উইকেট নিয়েছেন, উইকেট নিয়েছেন ওয়ানডেতে তার শেষের আগের বলেও।

* ভিভিএস লক্ষ্মন একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি একশর বেশি টেস্ট খেলেও কখনও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাননি।

* দুই ভারতীয় গ্রেট টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড় তাদের সুদীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারে স্টাম্পড হয়েছেন কেবল একবার করে। দুই জনের ক্ষেত্রেই বোলার ছিলেন একজন, ইংল্যান্ডের অ্যাশলি জাইলস। ২০০১ সালে বেঙ্গালুরু টেস্টে ৯০ রানে এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্টাম্পড হয়েছিলেন টেন্ডুলকার, পরের বছর হেডিংলি টেস্টে ১৪৮ রানে দ্রাবিড়।

* ওয়ানডে ইতিহাসের সফলতম ওপেনার শচিন টেন্ডুলকার টেস্টে ওপেন করেছেন কেবল একবারই। ১৯৯৯ সালে আহমেদাবাদে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচেই করেছিলেন ক্যারিয়ারের ছয় ডাবল সেঞ্চুরির প্রথমটি। তবে সেটি ছিল প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তোর জন্য তাকে নামানো হয় ওপেনিংয়ে, আউট হয়েছিলেন ১০ বলে ১৫ রান করে।

* সৌরভ গাঙ্গুলি ব্যাটিং করেছেন ঠিক ৩০০ ওয়ানডে ইনিংসে। এই সংস্করণে তিনি উইকেট নিয়েছেন ঠিক ১০০টি, ক্যাচও সমান ১০০টি। আর টেস্টে চার মেরেছেন ঠিক ৯০০টি।

*  ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন কেবল একজন, মাহেলা জয়াবর্ধনে। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে তখনকার শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১১৫। আর ২০১১ আসরের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩। ফাইনালে সেঞ্চুরি করেও হারের স্বাদ পাওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনিই। 

* ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেজলি হিল্টন একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার, হত্যার দায়ে যাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিল। নিজের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ছয় টেস্ট খেলা জ্যামাইকান ফাস্ট বোলার। আদালতে যদিও বলেছিলেন, আত্মহত্যা করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তবে তার স্ত্রীর শরীরে ছিল ৭টি বুলেটের চিহ্ন। ১৯৫৫ সালে তার ফাঁসি হয় ৫০ বছর বয়সে।

* টেস্টে তিন হাজার, চার হাজার ও পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে দ্রাবিড়ের লেগেছিল যথাক্রমে ৬৭, ৮৪ ও ১০৮ ইনিংস। টেকনিক ও টেম্পারমেন্টের কারণে যাকে মনে করা হয় দ্রাবিড়ের উত্তরসূরী, সেই চেতেশ্বর পুজারা ওই মাইলফলকগুলো ছুঁয়েছেন দ্রাবিড়ের ঠিক সমান ইনিংস খেলে!

* ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। মাঝে মাঝে অবশ্য বোলিংও করেন তিনি। মজার ব্যাপার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলি প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন কোনো বৈধ বল না করেই! ২০১১ সালে ম্যানচেস্টারে ভারত-ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে কোহলির করা প্রথম বলটি ছিল ওয়াইড, স্টাম্পড হয়েছিলেন কেভিন পিটারসেন।

* উইকেটে সবসময় অস্থির উপস্থিতি ছিল শহিদ আফ্রিদির। সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরি করলেও কোনো ম্যাচে কখনও খেলতে পারেননি ১০০ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬৯ ইনিংসে ব্যাট করে সর্বোচ্চ খেলেছেন ৯৪ বল, ১৯৯৮ সালে টরন্টোতে ভারতের বিপক্ষে।

* রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারা, টেন্ডুলকার- কেউই লর্ডসে কখনো টেস্ট সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ক্রিকেট তীর্থ বলে পরিচিত এই মাঠে পন্টিংয়ের তবু একটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে। বাকি দুজনের সেটিও নেই। টেন্ডুলকারের অবশ্য ১২৫ রানের একটি ইনিংস আছে লর্ডসে। তবে সেটি ছিল ৫০ ওভারের একটি চ্যারিটি ম্যাচ, ১৯৯৮ সালে এমসিসির বিপক্ষে বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলেছিলেন টেন্ডুলকার।

* ক্রিকেটে অনেক প্রথমের জন্ম দিয়েছেন টেন্ডুলকার। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যানও তিনিই। ১৯৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে রান আউট হয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ওই ম্যাচ দিয়েই থার্ড আম্পায়ারের প্রচলন শুরু হয় ক্রিকেটে। 

* সৌরভ, ধোনি, কোহলি- তিন ভারতীয় অধিনায়কেরই সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস ১৮৩। ইনিংসগুলো খেলার সময় যদিও অধিনায়ক ছিলেন না কেউই।

* গাভাস্কার, সৌরভ, লক্ষন- তিন ভারতীয় গ্রেট তাদের ৯৯তম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে গাভাস্কার অপরাজিত ২৩৬, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে সৌরভ ২৩৯, পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে অপরাজিত ২০০ রান করেছিলেন লক্ষন। তিনটি ম্যাচই ড্র হয়েছিল।    

* টেন্ডুলকারের ২০০, শেবাগের ২১৯ ও রোহিত শর্মার ২৬৪ রানের ইনিংস ওই সময়গুলোতে ছিল ওয়ানডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (রোহিতের রেকর্ড এখনও টিকে আছে)। আর তিনটি ম্যাচই ভারত জিতেছিল সমান ১৫৩ রানে।    

* একই সঙ্গে নিজেদের শততম টেস্ট খেলেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক ও অ্যালেস্টার কুক। ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে তৃতীয় টেস্ট ছিল সেটি, পার্থে। দুই জনই ছিলেন দুই দলের অধিনায়ক।

নিজের শততম টেস্টে গোল্ডেন ডাকের শিকার হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যানও কুক। প্রথম ইনিংসে ৭২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইংলিশ অধিনায়কের।

* বাবা-ছেলের বিশ্বকাপে খেলার প্রথম ঘটনার জন্ম ডন প্রিঙ্গল ও ডেরেক প্রিঙ্গলের হাত ধরে। দুজন অবশ্য খেলেছিলেন ভিন্ন দুই দেশের হয়ে। ১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপে ইস্ট আফ্রিকার হয়ে দুই ম্যাচ খেলেছিলেন ডন। তার ছেলে ডেরেক ১৯৮৭ ও ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ১১ ম্যাচ।

* কখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলে বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ক্রিকেটার সুনিল ওয়ালসন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। ৭৫টি প্রথম শ্রেণির ও ২২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা ওয়ালসনের কখনও আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি।

* ইনজামাম-উল-হকের মূল পরিচয় ব্যাটসম্যান। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক। উইকেটটি ছিল লারার, ১৯৯১ সালে ফয়সালাবাদে ওয়ানডে ম্যাচে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হলেও ইনজামাম ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার, ফিল্ডিংয়ে বল থ্রো করতেনও বেশির ভাগ সময় বাঁহাতে।

* এক ওভারে তিন বোলার ব্যবহার! অদ্ভূত শোনালেও এমন ঘটনাই দেখা গেছে একবার টেস্টে। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারভিন ডিলন, কলিন স্টুয়ার্ট ও ক্রিস গেইল মিলে সম্পন্ন করেছিলেন এক ওভার।

সেটি ছিল ম্যাচের কেবল পঞ্চম ওভার। ওভারের প্রথম দুই বল করার পর ব্যথা নিয়ে বোলিং থেকে সরে গিয়েছিলেন ডিলন। বদলি হিসেবে এসে তিন বলের মধ্যে দুটি বিমার মেরে নিষিদ্ধ হন কলিন স্টুয়ার্ট। এরপর ওভারের শেষ তিন বল করেন গেইল।

* ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ৩৫৯ রানের স্কোর আছে চারটি, সবগুলোই ভারতের বিপক্ষে; ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে, ২০০৪ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে, ২০১৩ ও ২০১৯ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে।