সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে মঙ্গলবার রাতে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তামিম, যেখানে নাজমুলকে দেখা যাচ্ছে চাল মেপে প্যাকেট করতে। তামিম লিখেছেন, মাঠে ‘নাগিন’ উদযাপনে আনন্দ দেওয়া নাজমুল করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগের সময় আনন্দ দিচ্ছেন ভিন্ন মঞ্চে।
“ছবিতে নিজ হাতে চাল মেপে দিচ্ছেন যিনি, মানুষটিকে আপনারা অনেকেই চেনেন। মাঠে তার সেলিব্রেশন আপনাদের আনন্দ দিয়েছে অনেক সময়। এখন সে কাজ করে চলেছে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। জাতীয় ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপু।”
কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যেসব জায়গায়, নারায়ণগঞ্জ তার অন্যতম। তামিম লিখেছেন, দুর্যোগের শুরু থেকেই মানবতার সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নাজমুল।
“নারায়ণগঞ্জে করোনার এই ক্রান্তিকাল শুরুর সময় থেকেই অপু নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। নিজে যতটুকু পেরেছে ও অন্যদের সহায়তা নিয়ে দিনের পর দিন দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলেছে সে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ওকে সহায়তা করার।”
“এই প্রবল দুর্যোগের সময় দেশজুড়ে আরও অসংখ্য মানুষ এভাবে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে আজ। অপুর যে দিকটি আমার খুব ভালো লেগেছে, সে উদ্যোগ নিয়েছে তো বটেই, নিজেই সবকিছু জোগাড় করে, মেপে, প্যাকেট করে, মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছে। একবার-দুবার নয়, বারবার। একজন জাতীয় ক্রিকেটার যখন এভাবে মানবসেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, সমাজকে তা খুব ভালো বার্তা দেয়।”
বাংলাদেশের হয়ে ১টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নাজমুল। ২৮ বছর বয়সী স্পিনার অনেক দিন ধরেই আছেন জাতীয় দলের বাইরে। মাঠের ক্রিকেটে যেমনই হোক, নাজমুল জীবনের আঙিনার নায়ক, বলছেন তামিম।
“অনেক সময়ই আমাদেরকে বিচার করা হয় শুধু ক্রিকেট দিয়ে। অপু দেখিয়ে দিচ্ছে, মানুষ হিসেবে বড় হওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!
তামিম নিজেও এই দুঃসময়ে সহায়তা করে চলেছেন অনেক। নাজমুলের এই উদ্যোগে তিনি সহায়তা করেছেন দুই দফায়। জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসের দ্রুততম মানব সামিউল ইসলামের মানবেতর দিন কাটানোর খবর পত্রিকায় পড়ে কয়েক মাসের খাদ্য সহায়তা করেছেন তার পরিবারকে।
মাশরাফি বিন মুর্তজার পরামর্শে জাতীয় ক্রিকেটারদের বেতন থেকে তহবিল গড়ার সমন্বয়ও করেছেন তামিম। দলের অন্য চার ক্রিকেটারের সঙ্গে মিলে আর্থিক সহায়তা করেছেন টিম বয়দের। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করেছেন আরও অনেককে।