করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে, তাতে এখনই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা কঠিন। তবে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য একটি পথরেখা মিলতে পারে এই সভা থেকে।
সভায় প্রতিটি সিরিজ ধরে আলোচনা হবে না। তাই বাংলাদেশের স্থগিত হওয়া সিরিজগুলি নিয়ে সভায় আলাদা করে কথা বলার সুযোগ দেখছেন না বিসিবির প্রধান নির্বাহী। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন, সামনে এগোনোর একটা ধারণা মিলতে পারে সভা থেকে।
“আমি যতদূর বুঝি, এখানে আসলে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সেটি তো কেউ জানে না। আলোচনা করলে অনেক পথ বেরিয়ে আসতে পারে। অনেকগুলি সিরিজ থমকে গেছে। অনেক খেলা ছিল এই সময়টায়। এগুলো নিয়ে আলাদা করে কথা বলা কঠিন।”
“এখনই দিন-তারিখ ঠিক না হলেও এই পরিস্থিতিতে কোন পথে এগোনো যেতে পারে, কীভাবে সিরিজগুলো ভবিষ্যতে আয়োজন করা যায়, সেসবের একটি ধারণা মিলতে পারে।”
বাংলাদেশের তিনটি সিরিজ আপাতত পিছিয়ে গেছে। এই মাসের শুরুতে একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। আগামী মাসে যুক্তরাজ্য সফরে সিরিজ ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। জুনে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার।
তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজেদের চেয়ে অন্য কয়েকটি বোর্ডের বাস্তবতা দেখছেন আরও কঠিন।
“আমাদের অবস্থা আমরা জানাব। কিছু খেলা স্থগিত হয়েছে আমাদের। অন্য অনেক দেশের কিন্তু আরও অনেক খেলা ছিল। তাদের ব্যস্ততাও বেশি। নতুন করে সিরিজগুলি আয়োজন করা সহজ কাজ নয়। সম্ভাব্য একটি পথরেখা ঠিক হওয়ার পর দুই দেশের বোর্ড মিলে নতুন সময় ঠিক করা হবে।”
“এফটিপিতে সূচি ছিল খুবই ঠাসা। নতুন করে সিরিজগুলির জন্য সময় বের করা অনেক কঠিন হবে। আলোচনা করে সম্ভাব্য সেরা পথ নিশ্চয়ই বের করা হবে। তাই অন্য সব দেশের ক্ষেত্রে যা হবে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ভিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই।”