সেরা লিগগুলোর তুলনা করতে গিয়ে রাসেলের বিবেচনায় বিপিএলের নামই আসেনি। তার মতে, সিপিএল একটা নিজস্বতা গড়ে তুলতে পেরেছে।
“ আমার মনে হয়, আমরাই দ্বিতীয় (আইপিএলের পর)… অনেক সময়ই প্রাপ্য কৃতিত্ব আমাদের দেওয়া হয় না। সবাই বিগ ব্যাশ (অস্ট্রেলিয়া) বা টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের (ইংল্যান্ড) কথা বলে, পিএসএলও (পাকিস্তান) এখন খুব ভালো করছে, সবাই দারুণভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। কিন্তু সম্পৃক্ততার কথা বললে, আমরাও নিশ্চিতভাবে সমপর্যায়ের।”
“ আরেকটি বড় ব্যাপার, লোকে যখন টিভিতে সিপিএলের খেলা দেখে, তারা জানে কোন টুর্নামেন্টের খেলা দেখছে। কিন্তু অন্য লিগগুলোর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই লোকে বুঝে ওঠে না, “এটা কোন লিগ? টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট? বিগ ব্যাশ? অনেক সময়ই তাদেরকে একইরকম মনে হয়।”
ভারত বা ওই উপমহাদেশের মতো জনসংখ্যা নেই ক্যারিবিয়ানে। বাণিজ্যের পথে এটিকে বড় বাধা বলে মনে করেন রাসেল। তার পরও সিপিএলকে তারা আকর্ষণীয় পণ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন বলে দাবি তার।
“ বাণিজ্যিক দিক থেকে বড় একটা বাধা, এখানকার স্থানীয় দর্শক মাত্র ৭০ লাখ। ভারত বা বিশ্বের অন্য অনেক জায়গার সঙ্গে তুলনা করলে বড় আকারের স্থানীয় সম্প্রচার চুক্তি এখানে সম্ভব নয়। এজন্যই রাজস্ব কাঠামোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সৃষ্টিশীল হওয়া জরুরি।”
“ এই টুর্নামেন্ট অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এগিয়ে এসেছে। ক্যারিবিয়ানে এখন এটি দারুণভাবে প্রতিষ্ঠিত। কোনো সন্দেহ নেই, এখানে এটিই এখন শীর্ষ বিনোদনদায়ী পণ্য।”