আকমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনী লড়াই না করার। আপাতত তাই অপেক্ষা কেবল শাস্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। আজীবন নিষেধাজ্ঞা যদি এড়াতেও পারেন, শাস্তি যতটুকু হবে, সেখানেও থাকবে ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কা।
অথচ তুমুল প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। ২০০৯ সালে ডানেডিনের সবুজ উইকেটে অভিষেক টেস্টে শেন বন্ড, ক্রিস মার্টিনদের বোলিং সামলে খেলেছিলেন ১২৯ ও ৭৫ রানের দুটি ইনিংস। ওই সিরিজের পরের দুই টেস্টেও করেছিলেন ফিফটি। চতুর্থ টেস্ট খেলেছেন মেলবোর্নে। ফিফটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিজের প্রথম টেস্ট ইনিংসেও।
ওই বছরই তার ওয়ানডে অভিষেক শ্রীলঙ্কা সফরে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই করেছিলেন ৬৫ বলে ৬৬, তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ১০২। পাকিস্তান ক্রিকেটে তখন তাকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন।
কিন্তু উড়ন্ত সূচনার পরও মুখ থুবড়ে পড়েছে ক্যারিয়ার। মাঠের ক্রিকেটে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, মাঠের বাইরে শৃঙ্খলাজনিত কারণে ক্রমে পথ হারিয়ে এখন তিনি শেষের কাছে।
আর্থার পাকিস্তানের কোচ থাকার সময় আকমলের সঙ্গে তার ঝামেলা প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। সেটিরও মূল কারণ ছিল আকমলের শৃঙ্খলার অভাব।
সেই আর্থার এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, আকমলকে নিয়ে আর আশা দেখার সুযোগ নেই।
“ এখন অবশ্যই তার জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে (ঘুরে দাঁড়াতে)। এটা খুবই দুঃখজনক, কারণ পছন্দ করার মতো অনেক কিছুই তার মধ্যে আছে। কিন্তু তার ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে শক্তভাবে সামলানো। আমার মনে হয় না, ক্যারিয়ারের শুরুতে সে সঠিক শিক্ষা পেয়েছে। কারণ ভালো শিক্ষা পেলে, যে পথ সে বেছে নিয়েছে, সেই পথে যাওয়ার কথা নয়।”
“তার সঙ্গে কাজ করা ছিল হতাশাজনক। প্রতিভার কোনো কমতি তার নেই, কিন্তু সে সব নষ্ট করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, পাকিস্তান ক্রিকেট তাকে মনে রাখব এমন একজন হিসেবে, যে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেনি।”