সামর্থ্যের সর্বোচ্চ পরীক্ষা হয় যেখানে, সেই টেস্ট ক্রিকেটে দুজন মুখোমুখি হয়েছেন মাত্র দুইবার। ২০০৫ সালে, লারার ক্যারিয়ারে তখন গোধূলি বেলা। তার পরও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন লারা। ১-১ সমতায় শেষ হওয়া সিরিজের দুই টেস্টেই করেছিলেন সেঞ্চুরি।
‘উইজডেন ক্রিকেট মান্থলি’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে আফ্রিদি জানালেন, বল হাতে লারার সামনে পড়লেই তিনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতেন।
“ অবশ্যই ব্রায়ান লারা (কঠিনতম প্রতিপক্ষ)। আমি তাকে কয়েকবার আউট করেছি বটে, তবে যখনই তাকে বল করতে যেতাম, সবসময়ই মনে হতো, পরের বলেই সে চার মেরে দেবে। তার একটা প্রভাব আমার ওপরে পড়েছিল। কখনোই তাকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বল করতে পারতাম না।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বারের দেখায় লারাকে কেবল ২বার আউট করতে পেরেছিলেন আফ্রিদি, ১৯৯৭ সালে একটি ওয়ানডেতে ও আরেকবার ২০০৫ সালের ওই টেস্ট সিরিজে। শুধু আফ্রিদিই নয়, লারার সামনে বেহাল দশা হতো দুনিয়ার সেরা স্পিনারদেরও।
শেন ওয়ার্ন, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলদের স্পিন গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ সব ইনিংস খেলেছেন লারা। টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বোলার কিংবদন্তি অফস্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনকেও তিনি সামলেছেন অবলীলায়। ২০০২ সালের শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পারফরম্যান্স তো আলাদা জায়গা নিয়েই আছে ইতিহাসে। ৩ টেস্টে ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুরালিধরন, হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ লারা ৩ টেস্টে রান করেছিলেন ৬৮৮!
স্পিনের বিপক্ষে লারার সেই অসাধারণ দক্ষতার কথা তুলে ধরলেন আফ্রিদিও।
“তিনি ছিলেন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান, যিনি সেরা স্পিনারদের খেলেছেন দাপটে, এমনকি শ্রীলঙ্কায় গিয়ে মুত্তিয়া মুরালিধরনের বিপক্ষেও। স্পিনে তার পায়ের কাজ ছিল অসাধারণ। এই ধরণের বোলারদের বিপক্ষে তিনি যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, তা ছিল দর্শনীয়। তিনি ছিলেন সত্যিকারের জাত ব্যাটসম্যান।”