ফর্মহীনতায় গত অ্যাশেজের মাঝপথে টেস্ট দল থেকে ছিটকে পড়েন মইন। পরে জায়গা পাননি বোর্ডের লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও। এরপর নিজেই সিদ্ধান্ত নেন এই সংস্করণ থেকে বিরতিতে যাওয়ার। নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য সম্ভাব্য বিবেচনা থেকে প্রত্যাহার করে নেন নিজেকে।
এরপর তিনি খেলেছেন কেবল সীমিত ওভারের সংস্করণে, জাতীয় দলে ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। যেখানে পারফর্ম করে টেস্ট দলে ফেরার দাবি জানাতে পারতেন, সেই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে গেছে করোনাভাইরাসের কারণে। মইনের তবু বিশ্বাস, এখন তিনি টেস্টের জন্য তৈরি!
ইংল্যান্ডের দা গার্ডিয়ানকে ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বলেছেন, বিরতিতে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছেন তিনি।
“সত্যি বলতে, সম্ভবত এখন আমি প্রস্তুত। এটা স্পষ্ট যে, আমাকে ভালো খেলতে হবে এবং যোগ্যতা দিয়েই দলে জায়গা ফিরে পেতে হবে। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে, অবশ্যই ধারণা থেকেই বলছি, কালকেই যদি একটি টেস্ট ম্যাচ থাকে এবং আমাকে ডাকা হয়, আমি বলব যে ‘আমি প্রস্তুত’।”
ইংল্যান্ডের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ঘরের মাঠে। তবে কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপে শঙ্কা আছে সেই সিরিজ নিয়ে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় শঙ্কিত তিনিও।
“আমরা সবাই এখন ক্রিকেট মিস করছি। করোনাভাইরাস সবাইকে এই উপলব্ধিটা করাচ্ছে যে আমরা কী ভালোবাসি। পুরো গ্রীষ্মই (ক্রিকেট মৌসুম) কেড়ে নিতে পারে এটি, তা হবে ভয়ানক ব্যাপার।”
ক্রিকেটবিহীন এই সময়ে নিজেকে তিনি আবিষ্কার করেছেন নতুনভাবে।
“এখনকার এই বিরতিতে আমার উপলব্ধি হয়েছে যে, যখন কোনো নেতিবাচক মন্তব্য নিজেকে ঘিরে রাখে, কেবল এটাই করার আছে যে কোনোভাবে মনোযোগ ধরে রাখা। মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে এবং নেতিবাচকতাগুলোকে ছেঁকে ফেলতে হবে।”
করোনাভাইরাসের এই সময়ে কঠিন বাস্তবতার উপলব্ধিও হয়েছে মইনের।
“বিশ্বে এখন এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, এটিই উপযুক্ত সময় ভাবার। উপলব্ধি করতে পারছি যে, পৃথিবীতে কতদিন থাকব জানি না, তাই লোকে আমাকে নিয়ে কী বলল, সেটির কোনো মূল্য নেই। যদি গণমাধ্যমের কেউ কারও ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে, বুঝতে হবে তারা স্রেফ নিজের কাজই করছে এবং তাতে প্রভাবিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
“যে কেউই যা কিছু বলেছে, সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এই পরিস্থিতি। যখন খেলায় ফিরব, নতুন করে যাত্রা শুরু হবে। অতীতে একটা সময় নিজেকে বলির পাঁঠা মনে হয়েছে, এখন সেই ভাবনা থেকে বের হয়ে এসেছি। সময় এখন সামনে তাকানোর।”
ইংল্যান্ডের হয়ে ৬০ টেস্ট খেলেছেন মঈন। ১০৪ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ২৮.৯২ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৭৮২ রান। অফ স্পিনে ২৮.৯৭ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১৮১ টি।