আইপিএলের পথচলা শুরু আর ম্যাককালামের সেই ইনিংসের ১২ বছর পূর্তি হলো শনিবার। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাককালাম খেলেছিলেন ৭৩ বলে অপরাজিত ১৫৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ১০ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছিল ১৩ ছক্কা।
সেই ম্যাককালাম এখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ। করোনাভাইরাসের কারণে এবারের আইপিএল পিছিয়ে গেছে। এই অবসরে তিনি ফিরে তাকালেন সেই সময়টায়। ফ্র্যাঞ্চাইজির ওয়েবসাইটে আলাপচারিতায় জানালেন, সেই ইনিংস নিয়ে এখনও তার মনে খেলা করে অনেক প্রশ্ন, অনেক বিস্ময় আর অনেক ভালো লাগা।
“ক্যারিয়ার বদলে যাওয়া, জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়া মুহূর্তের কথা বলে লোকে। ওই রাতে, তিন ঘণ্টার মধ্যে, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, দেড় ঘণ্টার মধ্যে আমার জীবন বদলে গিয়েছিল পুরোপুরি।”
সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে ওপেন করার সুযোগটি কেন আমিই পেয়েছিলাম? প্রথম ম্যাচে কীভাবে খেলার সুযোগ পেলাম, বিশ্ব ক্রিকেটের এত বড় এক টুর্নামেন্টের শুরুতেই কীভাবে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলাম? কীভাবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলাম? ভাগ্য কতটা পাশে ছিল আমার! সত্যি বলতে, আমি একটি প্রশ্নেরও উত্তর জানি না। শুধু জানি, ইনিংসটি আমার জীবন বদলে দিয়েছিল পুরো।”
ম্যাককালাম জানালেন, অধিনায়ক সৌরভ তাকে তখনই আভাস দিয়েছিলেন জীবন বদলে যাওয়ার।
“দাদা বলেছিলেন, ‘তোমার জীবন সবসময়ের জন্য বদলে গেল।’ আমি তখন তার কথার মানে বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন তার সঙ্গে আমি শতভাগ একমত। শাহরুখ খান (বলিউড অভিনেতা, ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম কর্ণধার) বলেছিলেন, ‘তুমি সবসময়ই নাইট রাইডার্সের সঙ্গে থাকবে।”
আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে সবসময়ই পরিচিতি ছিল ম্যাককালামের। তবে ওই ইনিংস দিয়ে নিজেকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোয় ক্রমে তার প্রবল চাহিদা দেখা যায়। ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৯টি দলে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই সংস্করণের অন্যতম সেরা হিসেবে। তার ৯ হাজার ৯২২ রান ও ৭ সেঞ্চুরি টি-টোয়েন্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ।
আইপিএল ক্যারিয়ারের বেশির ভাগটায় ম্যাককালাম খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। প্রথম তিন মৌসুম ছিলেন সেখানে। পরে কোচি, চেন্নাই, গুজরাট, বেঙ্গালুরু হয়ে আবার দুই মৌসুম খেলেন কলকাতায়। এখন সিপিএল ও আইপিএল, দুটিতেই নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ তিনি।