কিংবদন্তি এই পেসারের তালিকায় আছেন দুই সতীর্থ ম্যালকম মার্শাল ও অ্যান্ডি রবার্টস। ক্যারিবিয়ানদের সোনালি সময়ের সারথি ছিলেন তারা। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার ডেনিস লিলিকেও পছন্দের কাতারে রেখেছেন হোল্ডিং।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে গত বছর অবসর নেওয়ার আগে এই সংস্করণে ৯৩ ম্যাচ খেলেছেন স্টেইন। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২২.৯৫ গড়ে ৪৩৯ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি ডানহাতি এই পেসার। ১২৫ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৯৬ উইকেট ও ৪৭ টি-টোয়েন্টিতে ৬৪টি।
স্কাই স্পোর্টসের একটি আয়োজনে হোল্ডিং জানিয়েছেন, স্টেইনের খেলা দেখতে অর্থ পর্যন্ত খরচ করতে রাজি তিনি।
“আমার এই তিন জনের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে (মার্শাল, রবার্টস ও লিলি)। ডেল স্টেইনকে দৃশ্যের বাইরে রাখতে পারি না। সে এই প্রজন্মের দুর্দান্ত ফাস্ট বোলারদের একজন।”
ক্যারিয়ারে কঠিন সময় পার করে ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন লিলি। নিজের কার্যকারিতা কখনোই কমতে দেননি, হোল্ডিংয়ের ভালো লাগার যা অন্যতম কারণ।
“ছন্দ, আগ্রাসন, নিয়ন্ত্রণ; লিলির সবই ছিল। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সে ছিল খুবই গতিময়। কিন্তু পিঠের চোটের পর তার বোলিং অ্যাকশন পুরোপুরি বদলাতে হয় এবং এরপর ব্যাটসম্যানদের আউট করতে সে বিভিন্ন উপায় বের করেছে।”
“এইভাবে যখন কাউকে মানিয়ে নিতে দেখা যায়, তাকে এগিয়ে রাখতেই হয়। সামান্য পরিমাণ বদলেও অনেক ক্রিকেটাররাই কার্যকারিতা ধরে রাখতে পারে না।”
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মার্শাল ৮১ টেস্ট খেলেছেন। ২০.৯৪ গড়ে নিয়েছেন ৩৭৬ উইকেট। হোল্ডিংয়ের মতে, দারুণ তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন বোলার ছিলেন মার্শাল।
“ম্যালকম শুরু করেছিল ভালো ছন্দে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ফাস্ট বোলিং নিয়ে অনেক কিছু শিখেছিল। সে খুব সহজে ও দ্রুত প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের পড়তে পারত। ওইসময়ে তেমন কম্পিউটার ছিল না। সবকিছুই ছিল ওর মাথায়। সে বুঝত, কীভাবে মারকুটেদের সামলাতে হয়।”
তুলনামূলক কম টেস্ট খেলেছেন রবার্টস। তবে বেশ সমৃদ্ধ ছিল তার ক্যারিয়ার। ৪৭ টেস্ট খেলা এই পেসার ২৫.৬১ গড়ে নেন ২০২ উইকেট।
জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হোল্ডিংয়ের মতে, ক্রিকেট জ্ঞানে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন রবার্টস। ক্রিকেটের অনেক শিক্ষাই এই রুমমেটের কাছ থেকে পেয়েছেন হোল্ডিং।
“অ্যান্ডি এমন একজন ছিল, যার থেকে আমি অনেক শিখেছি। সে খুবই কম কথা বলত। সে মাঠের চারপাশে গোমড়া মুখে হেঁটে বেড়াত এবং মানুষ হয়তো ভাবত সে দেখতে আগ্রাসী এবং অসুখী একজন লোক। কিন্তু অ্যান্ডি তেমন ছিল না।”
“ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় সে আমার রুমমেট ছিল এবং আমরা প্রায় প্রতি রাতেই ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতাম…সে কী পরিমাণ জানে, তা অবিশ্বাস্য।”