বড় ছক্কার চ্যালেঞ্জে নেমেছিলেন রিচার্ডস-ইনজামাম

ইনজামাম-উল-হক যখন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন, ভিভ রিচার্ডস ততদিনে অবসরে। সেই সময়েই আত্মবিশ্বাসে টগবগ তরুণ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে ‘বড় ছক্কার’ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2020, 08:42 AM
Updated : 16 April 2020, 08:54 AM

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেলে পুরনো সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। ছক্কার সেই লড়াইয়ের শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিলেন ইনজামামই।

“একবার কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে ব্যাটিং করেছিলাম। তিনি আমার কাছে এসে বললেন, ‘দেখা যাক, কে বেশি বড় ছক্কা মারতে পারে!’ আমি হেসে বললাম, ‘অবশ্যই।’ আমি তো ভেবেছিলাম, তিনি অবসরে যাওয়া ব্যাটসম্যান আর আমি তখন আত্মবিশ্বাসে টগবগে তরুণ।”

"প্রথম ওভারে তিনি একটা ছক্কা হাঁকালেন, বল গিয়ে পড়ল মাঠের বাইরে পার্কিং এলাকায়। এরপর আমি একটা ছক্কা মারলাম, বল ড্রেসিং রুমের ওপর দিয়ে পেরিয়ে রিচার্ডসের ছক্কাকে ছাড়িয়ে গেল। খুশি হয়ে তাকে বললাম, ‘আমিই বড় ছক্কা মেরেছি।’ তিনি স্রেফ বললেন, ‘লড়াই তো শেষ হয়নি, আমরা এখনও খেলছি!"

তার পর যা হওয়ার, হলোও তাই। ইনজামামকে তাক লাগিয়ে দিলেন রিচার্ডস।

“তৃতীয় ওভারে তিনি একটি ছক্কা হাঁকালেন, বল ড্রেসিং রুমের ওপর দিয়ে পেছনের একটি বাড়িতে গিয়ে পড়ল। স্রেফ একটিই নয়, তিনটি বিশাল ছক্কায় বল পাঠালেন মাঠের বাইরের আশপাশের বাড়িগুলোতে। তিনি ছিলেন ওই মাপের ক্রিকেটার। অবসরের পরও অমন ক্রিকেট খেলেছেন! অসাধারণ একজন ক্রিকেটার ছিলেন।”

রিচার্ডসকে বরাবরই মনে করা হয় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের শেষ কথা। তার মতো কাউকে আজও দেখেন না ইনজামাম।

“এখনকার ক্রিকেটে অনেক বড় স্কোরের ম্যাচ হয়, কিন্তু রিচার্ডসের মতো আগ্রাসন আর দেখি না। ক্রিকেটের মূল সৌন্দর্যই হলো আগ্রাসন। এটির কারণেই লোকে ক্রিকেট উপভোগ করে।”

পাকিস্তান সুপার লিগের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ‘মেন্টর’ হিসেবে কয়েক মৌসুম ধরে দায়িত্ব পালন করছেন রিচার্ডস। ইনজামামের ধারণা, এই কিংবদন্তির কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছেন কোয়েটার ক্রিকেটাররা। তার সময়ের আরও অনেক গ্রেট পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যথেষ্ট করেননি বলেও আক্ষেপ করলেন ইনজামাম।

“কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের অনেককে নিয়ে আমার দুঃখবোধ আছে। শচিন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, সাঈদ আনোয়ার ও অন্য গ্রেটরা খেলাটায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তারা ছিল খেলার মাস্টার। কিন্তু অবসরের পর তারা কোচ হিসেবে ক্রিকেটকে খুব বেশি কিছু দেননি বা তরুণদের গড়ে তোলায় সেভাবে ভূমিকা রাখেননি।”