সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেই বাবরের ব্যাটিং গড় ৫০-এর বেশি। টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিন ধরে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান তিনি, ওয়ানডেতে আছেন তিনে। বিবর্ণ শুরুর পর এখন টেস্টেও ভালো করছেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। উঠে এসেছেন র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থানে।
২২ গজে বাবরের মুখোমুখি স্টেইন প্রথম হন ২০১৮-১৯ মৌসুমে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেবার তিন টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলেছিল পাকিস্তান।
টেস্ট সিরিজে স্টেইন-কাগিসো রাবাদাদের বিপক্ষে বেশ ভালো ব্যাটিং করেন বাবর। ছয় ইনিংসে ৩৬.৮৩ গড়ে ২২১ রান করে ছিলেন সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টি-টোয়েন্টিতে ৫০.৩৩ গড়ে ১৫১ রান করে ছিলেন চূড়ায়।
তিন টেস্টেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন বাবর। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ইনিংসে খেলেন ৭৯ বলে ৭১ রানের ইনিংস, কেপ টাউন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৮৭ বলে ৭২ রান। দুই ইনিংসেই মারেন ১৫টি করে চার। জোহানেসবার্গ টেস্টে আগ্রাসী শুরু করে থামেন ৪৯ রানে। তার অমন দাপুটে পারফরম্যান্সেই ধারণা বদলে যায় স্টেইনের।
“বাবর মাঠে নেমে যে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলেছিল, বিষয়টি আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমি জানি, টানা পাঁচটি হাফ-ভলি করে তাকে তেমন খেলার সুযোগ দিয়েছিলাম। সম্ভবত আমি তার সামর্থ্যকে খাটো করে দেখেছিলাম।”
“সে দারুণ কিছু ড্রাইভ করেছিল। তখন ভাবলাম, একটু বাইরে বল করি, কিন্তু সে ওইগুলোও দারণভাবে খেলেছিল।”
বাবরের সঙ্গে ওই লড়াইয়ে বেশ ভালোলাগা কাজ করে স্টেইনের। ভবিষ্যতে আবার মুখোমুখি হলে তাকে পরাস্ত করার লক্ষ্যের কথাও জানালেন তিনি।
“এরপর সে অনেক অনেক রান করেছে। ওই ইনিংসকে সামনে এগোনোর নিয়ামক হিসেবে ব্যবহার করেছে সে। কারণ, সে তখন এমন একজন বোলারের বিপক্ষে রান করেছে, যে কিনা তার চোখে সেরাদের একজন। বিষয়টি দারুণ। এটা ভালো ব্যাপার যে, আরেকটি সুযোগ সবারই আসে। যখন আমরা পরেরবার মুখোমুখি হব, সব শূন্য থেকে শুরু হবে। অতীতের কিছু তখন কাজে আসবে না।”