বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যু। অনেক দেশই অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে।
তবে হগ মনে করেন, আয়োজকরা কিছু সিদ্ধান্ত নিলে ঠিক সময়েই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো সম্ভব। টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় ৪৯ বছর বয়সী সাবেক অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার তার ভাবনার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
“অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল বা পরিবর্তিত সূচিতে হতে পারে, এমন অনেক কথাই বলা হচ্ছে। আমি এমনটি চাই না...। তবে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি।”
“অনেক খেলোয়াড় এখন লকডাউনে রয়েছে। তারা বাইরে যেতে পারছে না, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য অনুশীলন করতে, প্রস্তুতি নিতে পারছে না। যে সময়ে তাদের এখানে (অস্ট্রেলিয়ায়) আনার কথা, প্রয়োজনে তার চেয়ে এক মাস বা দেড় মাস আগে এখানে নিয়ে আসা যেতে পারে।”
বিশ্বজুড়ে বিমান যোগাযোগ সীমিত হয়ে এসেছে অনেক। বিশ্বকাপের আগেও যদি যোগাযোগ স্বাভাবিক না হয়, চার্টার্ড ফ্লাইটে দলগুলোকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ হগের। তার আগে সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষাও করানো হোক, বলছেন জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার।
“এই মুহূর্তে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট নেই। আমাদের তাই চার্টার্ড ফ্লাইট ব্যবহার করতে হবে...। তার আগে যারা এসব ফ্লাইটে উঠবে, তাদের সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে নিতে হবে।”
“অস্ট্রেলিয়া পৌঁছার পর তারা দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনে থাকবে। দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ যখন শেষ হবে, তাদের আবারও পরীক্ষা করাতে হবে। যদি তারা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়, তাহলে তারা বাইরে যেতে, অনুশীলন করতে পারবে।”
ক্রিকেট মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করেন না হগ।
“সামাজিক দূরত্ব ক্রিকেটে কোনো সমস্যা নয়। কারণ মাঠে খেলোয়াড়রা সবসময়ই পরস্পর থেকে দেড় মিটারের বেশি দূরে থাকে। একমাত্র সমস্যা হতে পারে স্লিপ কর্ডনে। সেখানে একটা নিয়ম করা যেতে পারে, স্লিপ কর্ডনে পরস্পর থেকে দুই মিটার দূরত্বে দাঁড়াতে হবে।”
দর্শকদের কথা বিবেচনা করে টুর্নামেন্ট বাতিল করা ঠিক হবে না বলেই মনে করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার।
“টুর্নামেন্ট কেন বাতিল করা হবে? অনেক দর্শক আছে যারা ক্রিকেটের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তারা টিভিতে সরাসরি ক্রিকেট দেখতে চায়, সেরা ক্রিকেটারদের মাঠে দেখতে তাদের তর সইছে না।”
“আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে ভারতে। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কাম্য নয়, কারণ তা হবে অদ্ভূত, গ্রহণযোগ্যতাও থাকবে কম।”