আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে আগামী জুনে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে একের পর এক সিরিজ স্থগিত হওয়ার মিছিলে জায়গা পেয়ে গেছে এটিও। দুই দেশের বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেছে সিরিজ।
বাংলাদেশে সবশেষ সফরে মিরপুর টেস্টে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে চট্টগ্রামে জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করতে পেরেছিল তারা। ১৩ উইকেট নিয়ে দলের সেই জয়ে বড় অবদান ছিল লায়নের। ২ টেস্টে ২২ উইকেট নিয়ে এই অফ স্পিনার সিরিজের সেরা হয়েছিলেন যৌথভাবে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে।
গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে লায়নের ধারণা ছিল, এবারও অপেক্ষায় ছিল আরেকটি চ্যালেঞ্জিং সিরিজ।
“বাংলাদেশে যাওয়া হচ্ছে না, এটা অবশ্যই হতাশাজনক। আমাদের জন্য সিরিজটি হতো বড় এক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এমন জায়গা, যেখানে আমি ব্যক্তিগতভাবেও চ্যালেঞ্জ টের পাই খেলতে দারুণ উপভোগ করি।”
“সূচির কথা বললে, আইসিসি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও সব বড় কর্তারা নিঃসন্দেহে সম্ভব সবকিছুই করবে যেন আমরা সেখানে যেতে পারি ও ক্রিকেট খেলতে পারি।”
কোভিড-১৯ রোগের প্রভাবে স্থগিত হয়ে যাচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ একের পর এক সিরিজ। আগামী বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে প্রবল। ফাইনাল পেছানোর মত দিচ্ছেন অনেক ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্ট অনেকে।
লায়ন এই ভাবনা ছেড়ে দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপরই। ফাইনাল যখনই হোক, সেখানে তিনি দেখতে চান নিজেদের।
“এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ওই সময়জুড়ে সেরা দুটি দলই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে লড়বে। আমি তাই অবশ্যই সেখানে থাকতে চাই। অস্ট্রেলিয়াকে সেখানে দেখতে চাই। আমার মনে হয়, আমরা সঠিক পথেই আছি। আমাদের দলটা তরুণ, কিন্তু বিশ্বাস করি দুর্দান্ত একটি দল হয়ে গড়ে উঠছি আমরা।”
“আইসিসির কর্তারা ও সম্পৃক্ত অন্যরা এ বিষয়ে (ফাইনালের সম্ভাব্য সময়) সিদ্ধান্ত নিবে। আমাদের কেবল অপেক্ষা করতে হবে।”