রুট ভেবেছিলেন, এই বুঝি শেষ!

ঘরের মাঠে সিরিজ, ১-০ তে পিছিয়ে দল। সিরিজ হারের চোখরাঙানির সামনে খেলতে নেমে একশর নীচে অলআউট! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে সিরিজ হারার শঙ্কা তো ছিলই, গত অ্যাশেজের হেডিংলি টেস্টে আরেকটি ভয়ও পেয়ে বসেছিল জো রুটকে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ভাবছিলেন, এবার না নেতৃত্ব থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2020, 02:14 PM
Updated : 12 April 2020, 03:48 PM

২০১৯ অ্যাশেজের ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৯ রানে থামিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নিজেরা ব্যাটিংয়ে নেমে গুটিয়ে যায় ৬৭ রানেই! রুট ভেবেছিলেন, তার নেতৃত্বের অধ্যায়ের ইতি এই হলো বলে।

দ্বিতীয় ইনিংসেও খুব বড় স্কোর গড়তে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসের ব্যবধানের কারণে লক্ষ্যটা তার পরও ইংলিশদের জন্য ছিল কঠিন। শেষ ইনিংসে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য একরকম আকাশছোঁয়ার মতোই।

সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ রানের মধ্যেই ২ ওপেনারকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আবারও দলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। তার ব্যাট থেকে আসে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। শেষ উইকেটে ৭৬ রানের অভাবনীয় এক জুটি জিতিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। রুটের মন থেকেও দূর হয় শঙ্কার মেঘ।

ক্রিকেটবিহীন এই সময়ে রুট স্বস্তি নিয়েই পেছন ফিরে তাকাতে পারছেন ওই ম্যাচে। স্কাই স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে সতীর্থ ক্রিস ওকসের সঙ্গে আলাপচারিতায় রোমন্থন করেছেন সেই টেস্টের স্মৃতি।

চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ড যখন ম্যাচটি জিতে গেল, রুট স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন উচ্ছ্বসিত। নিজের ঘরের মাঠ বলে তো বটেই, যে পরিস্থিতিতে জয়টি এসেছিল, সব মিলিয়েই ম্যাচটি তার কাছে স্মরণীয়।

“হ্যাঁ (মনে রাখার মতো জয়), বিশেষ করে ম্যাচটি যেভাবে এগিয়েছিল। দুই দিন আগে আমরা অলআউট হয়েছিলাম ষাটের আশেপাশে। আমার তখন মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচের পরই আমাকে নেতৃত্ব থেকে বরখাস্ত করা হবে। কিন্তু এরপর ম্যাচটি যেভাবে ওই দিকে মোড় নিল, এটা ছিল অবিশ্বাস্য।”

“মাঠে দর্শক, হইচই এমন ছিল, টেস্ট ক্রিকেটে অমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক দিন হয়নি। পারিপার্শ্বিকতা যখন ওইরকম ছিল এবং বেন যেসব শট খেলছিল, নিজেই নিজেকে চিমটি কাটছিলাম (যে সত্যি কিনা)। মনে পড়ে, খেলা শেষে মাঠে বেনের কাছে যখন গিয়েছিলাম, যত সংখ্যক মানুষ জুতা, প্লাস্টিক গ্লাস, এসব বাতাসে ছুঁড়ে মারছিল, সত্যিই ছিল অবিশ্বাস্য। ”

স্টোকসের জন্য মঞ্চ তৈরি করার বড় কাজটি অবশ্য করেছিলেন রুটই। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক খেলেছিলেন ৭৭ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংস।

ইংল্যান্ড পরে সিরিজ জিততে না পারলেও ড্র করেছিল। টিকে গেছে রুটের নেতৃত্বও।