নায়কদের নায়ক: মাহমুদউল্লাহর জীবনের তিন তারকা

গ্যালারি থেকে কাউকে দেখে ঘোর লেগে যায়। টিভি পর্দায় দেখা কেউ জায়গা করে নেয় হৃদয়ে। দূর আকাশের কোনো তারা অনেক সময় হয়ে ওঠে এগিয়ে চলার প্রেরণা। কখনও আবার আপন কেউ মনে বুনে দেয় স্বপ্নের বীজ। মাহমুদউল্লাহ যেমন স্বপ্ন পূরণের পথে ছোটা শুরু করেছিলেন বড় ভাইয়ের হাত ধরে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2020, 01:11 PM
Updated : 14 April 2020, 06:58 AM

বাংলাদেশের ক্রিকেটে যারা তারকা, শৈশব-কৈশোরে বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে তাদের জীবনেও কেউ না কেউ ছিল নায়ক। তাদের নিয়েই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ধারাবাহিক ‘নায়কদের নায়ক।’ বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও সবশেষ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ শোনাচ্ছেন তার জীবনের নায়কদের কথা।

‘আমার জীবনে নায়ক তিন জন’

“আমার জীবনের প্রথম নায়ক দেশের বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো তারকা নয়। কিন্ত আমার জীবনে তিনি উজ্জ্বলতম তারকা। আমার ভাই মোহাম্মদ এমদাদউল্লাহ। আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে উনি মেজো, আমি ডাকি ছোট ভাই বলে।”

“ভাইয়া ময়মনসিংহ লিগে খেলতেন নিয়মিত। ঢাকায়ও লিগ খেলেছেন ধানমন্ডি ক্লাবে, বাংলাদেশ বয়েজে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ছিলেন। উনাকে দেখেই আমার ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হওয়া। উনার হাতেই আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি।”

“ক্রিকেটের ‘অ আ ক খ’ থেকে শুরু করে প্রাথমিক সবকিছু, ভাইয়া নিজের হাতে শিখিয়েছেন। হাতে ধরে মাঠে নিয়ে গেছেন। বলা যায়, ক্রিকেটার হওয়ার বীজ উনিই বুনে দিয়েছিলেন আমার মনে। উনার অবদান ছাড়া আমার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা হতো না।”

“ক্রিকেট কিছুটা শিখে ফেলার পর আমার নায়ক ময়মনসিংহের স্থানীয় একজন কোচ, আমি ডাকতাম ‘সাদেক কাকা।’ অনেক কষ্ট করেছেন আমাকে নিয়ে। ব্যাটিংয়ের খুঁটিনাটি সবকিছু শিখিয়েছেন। বিকেলে হয়তো ফরম্যাল প্র্যাকটিস থাকত, উনি বলতেন সকালে উনার বাসায় চলে যেতে। উনার বাসার পেছনে একটা আঙিনা ছিল। সেখানে ব্যাটিং ড্রিল করাতেন। জীবনে অনেক উপকারে লেগেছে উনার শেখানো জিনিসগুলো।”

“আমার এরপরের নায়ক সুজন ভাই (খালেদ মাহমুদ)। অনেকবারই এটা বলেছি আমি। আমার এই পর্যায়ে আসার পেছনে সুজন ভাইয়ের অনেক বড় অবদান। তবে তিনি আমার নায়ক তার সঙ্গে পরিচয়ের অনেক আগে থেকেই। ময়মনসিংহে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন উনি। সেই ম্যাচে ১১০ রান করেছিলেন। বোলারদের তুলোধুনো করে ছেড়েছিলেন। তখন থেকেই তাকে আমার ভালো লাগে।”

“পরে তো তার সঙ্গে অনেক সময় কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছে। অনেক কিছু শিখিয়েছেন। ক্রিকেটের যেমন, তেমনি জীবনেরও। আমাকে গাইড করেছেন, বলে দিয়েছেন কোন পথ ধরে এগোতে হবে। ঢাকার ক্রিকেটে নিজের জায়গা খুঁজে নেওয়ার সময়গুলোতে উনি অনেক ভূমিকা রেখেছেন। আমার ক্যারিয়ারে উনার প্রভাব অনেক।”